ওজন বাড়ায় ভয়ে অনেকেই পেট ভরে খান না। খাবার খান মেপে মেপে। কিন্তু এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো পেট ভরে খেলেও ওজন বাড়বে না। জেনে নিন সেসব খাবার সম্পর্কে
দই
রোজ খাওয়ার পাতে দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। টক দই-এর বহু পুষ্টিগুণ রয়েছে। শরীরে শক্তি বাড়াতে যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট দরকার, তেমনই খেয়াল রাখতে হবে যেন খাবারের মধ্যে ভিটামিন ও মিনারেল সম পরিমাণে থাকে।
মাছ
ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিবিদেরা বেশির ভাগ সময় মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন। তৈলাক্ত মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তরমুজ
তরমুজে আছে বিশেষ অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শরীরে রক্ত চলাচল ভাল রাখে। হাই প্রেসারের রোগীরা অবশ্যই খান তরমুজ। উপকারে আসবে। পাশাপাশি ওজন কমাতে চাইলেও আপনার ডায়েটে অবশ্যই থাকুক তরমুজ। ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করবে।
ডিম
দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে ডিম। যাঁরা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তারা প্রতিদিন পাতে ডিম রাখতে ভুলবেন না।
চিয়া সিড
চিয়া সিডে থাকে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদরা রোজ সকালে চিয়া সিড ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।
পপকর্ন
অন্যান্য খাবারের তুলনায় পপ কর্ণ বা ভুট্টার খই-এর মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম। কাজেই খিদের সময়ে এটি খেলেও ওজন বাড়ে না।
স্যুপ
সবজি সহযোগে স্যুপ রাখুন ডায়েটে। এতে যেমন পুষ্টিও মিলবে, তেমনই ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আলু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভাতের বদলে আলু খেতে পারেন। তবে ভাজা আলু নয়। সেদ্ধ আলুতে ওজন বাড়ে না। আলু রোগ প্রতিরোধর ক্ষমতা বাড়ায়। আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার কাজেই খাবার হজমেও সাহায্য করে আলু। এ ছাড়াও আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস। কাজেই সেদ্ধ আলু খাওয়া ক্ষতিকারক নয়।
ওটস
ওটসে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তা ছাড়াও রয়েছে উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড। ফাইবার থাকার কারণেও খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ছানা
দুধের বদলে ছানা খাওয়া যায়। ছানায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে। এতে হাড়ও শক্ত থাকে। ছানায় প্রোটিন রয়েছে। ছানার জলও উপকারী। এতে ওজন বাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন