আলোচিত মডেল মাহবুব পিয়াসা ও মৌ আক্তারের প্রধান সমন্বয়ক শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও তার সহযোগী মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা হয়েছে। রাজধানীর ভাটারা থানায় র্যাব বাদী হয়ে মামলাগুলো করে। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করেছেন একজন ভুক্তভোগী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে (৪ আগস্ট) র্যাব বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে- অস্ত্র, মাদক, জাল নোট ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ।
ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘র্যাব বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালত পাঠানো হয়েছে এবং ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।’
এদিকে, খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম বলেন, ‘একজন ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মিশু ও তার সহযোগী জিসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায়ও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের রিমান্ড চাওয়া হবে।’
সম্প্রতি মাদকসহ আটক মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মৌসহ অর্ধশতাধিক মডেলকে অনৈতিক ও প্রতারণার কাজে ব্যবহার করতেন শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান। তাদের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিনেছেন নামীদামি ব্রান্ডের বিলাসবহুল সব গাড়ি।
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মিশু ও তার সহযোগীকে একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, মাদক, ভারতীয় জাল রুপি, বিলাসবহুল ফেরারি গাড়িসহ গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। এই চক্রের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন। তারা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টির নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করে থাকেন। পার্টিতে তারা অংশগ্রহণকারীদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকেন। অংশগ্রহণকারীরা সাধারণত উচ্চবিত্ত পরিবারের সদস্য।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন