হত্যা মামলায় ২২ বছর কারাভোগের পর ২০১৭ সালে জেল থেকে বের হন রফিকুল ইসলাম ওরফে রতন (৫৪)। দুবছর পর, ২০১৯ সালে অস্ত্র আইনের মামলায় আবার এক বছর জেল হয় তার। গত বছর জেল থেকে বেরিয়ে আসেন রফিকুল। কিন্তু বেরিয়ে আসতে পারেননি সন্ত্রাসসহ নানা অপকর্মের জাল থেকে। ফের ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করতে গিয়ে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছেন তিনি।
জানা গেছে, সর্বশেষ গত ৪ জুন ‘ভাড়াটে সন্ত্রাসী’ হিসেবে একজনের পক্ষ নিয়ে জমি দখল করতে গিয়ে ঘটনাস্থলে গুলি চালান রফিকুল। এহেন কাণ্ডে পিস্তলসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, গত ৪ জুন হাজারীবাগ থানার ৮৯ গজমহল শিকারিটোলা এলাকায় রফিকুলসহ ৮-১০ জন সন্ত্রাসী বিরোধপূর্ণ একটি জমিতে যায়। সেখানে দেয়াল নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে জমির মালিক মামুনকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি ডিবির রমনা জোনাল টিমের হাতে আসে। গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পারেন, রফিকুল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ওই জমিতে যায় এবং গুলি চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গত ২৩ জুন রাতে সাভার ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুল এবং তার সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল জানান, নিজ বাহিনীসহ তিনি ওই জমিতে গিয়ে গুলি চালিয়েছেন আবুল হাশেম নামে একজনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে। এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, এ কাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, কোথাও জমিজমা সংক্রান্ত গোলাগুলি হলে ডিএমপির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যেখানেই অস্ত্র ব্যবহার হবে, সেখানেই আমরা কাজ করব। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এর আগে, পল্লবীর ঘটনাতেও আমরা কাউকে ছাড় দিইনি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ নিরসনে ডিএমপির জোনাল গোয়েন্দা টিম এবং থানাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের মদদদাতা থেকে থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন