বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার তাদের মৃত্যু হয়। তারা হলেন মানরুম পাড়ার সংপুর ম্রো (৪১) সংরিং ম্রো (৬) ও কাইকেউ ম্রো (১৮)। এ নিয়ে সাত দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাড়াল ১১ জনে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে আজ বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এরা হলেন আংচং ম্রো (৭০) মেনলে ম্রো (৫) ও রেপং ম্রো (১৫)।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত আলকিদম উপজেলার দূর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নের তিনটি পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আটজন মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় তিনটি পাড়ার শতাধিক মানুষ। দূর্গম এলাকায় যাতায়ত ব্যবস্থা না থাকায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে আক্রান্তরা মারা যায়। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে ওষুধপত্র বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌছে দেয় এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানে সেখানে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে।
কুরুকপাতা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার কাইংক্য ম্রো বলেন, ‘আজ বুধবার সকালে মাংরুং পাড়ায় কাইকেউ ম্রো নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আরও দুজন মারা যায়। আক্রান্ত এখনো ৫০ জনের মতো রয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’
বান্দরবান সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১১ জন মারা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে হেলিকপ্টারে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আক্রান্ত এলাকায় সেনা সদস্যরা কাজ করছে সেখানে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর চিকিৎসকরা তাদের সেবা দিচ্ছেন। খাবার পানি, স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’ এর আগে গত বুধবার থেকে আলিকদম উপজেলার দূর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে চার দিনে আক্রান্ত হয়ে ৮ জন মারা যায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন