মঙ্গলবার বিবিসি বাংলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারপারসন কাবেরী গায়েন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পরীমণির ঘটনাটি নতুন নয়। এর আগে মডেল তিন্নিকে হত্যা করা হয়েছিলো। শুধুমাত্র বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে এই ঘটনা ঘটছে না, সারা দেশেই বিভিন্ন ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। নারীরা বিভিন্নভাবে লাঞ্চিতও হচ্ছেন।
এই অধ্যাপক বলেন, আমরা সাধারণভাবে ধরেই নেই বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিতে যারা কাজ করেন তারা সবাই খারাপ। যেদিন পরীমণির নিউজটি করা হয়, তার কমেন্টেসে ৬৫ হাজার হা হা রিয়েক্ট পড়েছিলো। অর্থাৎ এই মানুষগুলো ধরে নিয়েছিলো যেহেতু পরীমনি রাতের বেলা ব্যবসায়ীদের মাঝে গিয়েছিলো, তার মানে তিনি খারাপ মানুষ। তার অভিযোগ করার কোনও অধিকারই নেই।
[৫] কাবেরী গায়েন বলেন, ধারণাটি এমন, যে নারীরা চলচিত্র শিল্পে কাজ করেন, তারা ব্যবসায়ী শ্রেণির ভোগের পণ্য। একই মানসিকতা শিল্পী সমিতিরও, যে কারণে শিল্পী সমিতিও তার পাশে দাঁড়ায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের মস্তিস্কের মধ্যে গেঁথে আছে। যে একজন নারী তিনি যদি ‘যৌন আবেদনময়ী’ হোন তাহলে তার অভিযোগটি কেউ গুরুত্বের সাথে নেয়না। তাকে হা হা রিয়েক্ট করা হবে। তাকে বিশ্বাস করা যাবে না। এইভাবেই ভিকটিমকে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। এই সমস্ত ঘটনা ও পরীমনির ঘটনা দিয়ে সেটিই আশংকা করা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সমাজে এই পরিস্থিতিটি আছে, যদি কোনও একটি নারী ধর্ষণের শিকার হয় তাকে বেশ্যা বা যৌনকর্মী হিসেবে ভাইরাল করা হয়’। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন