সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে একটি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ হলো প্রযুক্তির প্রভাব যেমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সরকারি নজরদারি। এটি কেবল শারীরিক আক্রমণ এবং হয়রানিতেই সীমাবদ্ধ নয়, সাথে রয়েছে মামলাও।
ডিডাব্লিউ গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম ২০২১-এ আমন্ত্রিত হয়ে এমন মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক মহাসচিব এবং জাতিসংঘের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আইরিন খান।
ফোরামে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের মতো ব্যক্তিত্বের সাথে শীর্ষ ২০ জন বক্তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আইরিন খান। তাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ে কথা বলতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
ডিডাব্লিউ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আইরিন খান জানিয়েছেন, তিনি সাংবাদিকদের বিশেষ করে নারী সাংবাদিকদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। জাতিসংঘের মত প্রকাশের স্বাধীনতা-বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে তিনি এক উদ্বেগজনক প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন এবং এর বিপরীতে লড়াই করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশী লেখক এবং মানবাধিকারকর্মী আইরিন খান বলেন, "সাংবাদিকরা সংবেদনশীল বিষয়ে তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নিরাপদ বোধ করতে পারেন এমন উৎসগুলোর উপরই নির্ভর করে থাকেন। প্রায় সময়ই সাংবাদিকদের তাদের অনুসন্ধানী কাজের জন্য 'বদলা' নেয়া হয় এবং প্রায়ই তারা সংবাদের উৎস প্রকাশ করতে বাধ্য হন - যাদের প্রায়ই হয়রানি করা হয়, আক্রমণ করা হয়; যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।"।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন