ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে বিয়ে হয় রাজিব (৪৫) ও মোহনার (৩৫)। বিয়ের পর স্বামী জানতে পারেন আগেও দুইবার বিয়ে হয়েছে তার স্ত্রীর। তাই স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে নারাজ স্বামী। বিয়ের ২৫ দিন পর স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন মোহনা। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে জানিয়ে ফোন দেন ৯৯৯ নম্বরে। ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে বগুড়া শহরের লতিফুর কলোনি এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে লতিফপুর কলোনি এলাকার আব্দুল কাইউমের ছেলে ইয়াহিনুর রহমান রাজিবের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নিশিন্দারা ওলির বাজার এলাকার মৃত নুর আলমের মেয়ে মোহনা বেগমের। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত ১৫ মে সাত লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীর আগের দুইবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর জানতে পারেন স্বামী। এমতাবস্থায় স্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নেন মোহনা। সেখানে তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে জানিয়ে ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্বামী ও স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে আসা উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ জানান, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর উভয়ই নিজেদের অতীত সম্পর্কে জানতে পারেন। মোহনার আগেও দুটি বিয়ে হয়েছে। রাজিবও বিবাহিত।
রাজিবের বাবা আব্দুল কাইউম জানান, মোহনা তার ছেলে রাজিবকে পরিকল্পিতভাবে জোর করে নিয়ে বিয়ে করেছে। তাকে মারপিট বা নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, উভয় পরিবারের লোকজন নিয়ে বসে আলোচনা করে সমাধানের জন্য ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন