যশোরের বেনাপোল সীমান্তে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হচ্ছে রহস্যময় এক প্রাইভেটকার। সম্পূর্ণ বেআইনি এই প্রাইভেটকারটিতে একাধিক রং ব্যবহারের মাধ্যমে শোভাবর্ধন করে সড়ক দাপিয়ে বেড়ালেও অজানা রহস্যে প্রাইভেটকারটির ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না যথাযথ কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার বিকালে সিলভার রং ও হলুদ রং সংবলিত (লম্বালম্বি স্টাইফ) প্রাইভেটকার যোগে প্রকাশ্য দিবালোকে বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর-লক্ষণপুর সড়ক হতে ফিল্ম স্টাইলে মাধ্যমিকে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ মিলেছে।
অপহৃত ছাত্রীর মামা জিয়াউর রহমান জানান, তার ভাগনীকে অজ্ঞাতনামা যুবকেরা রাস্তার উপর হতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এমন সংবাদে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরবর্তীতে লোক মারফত তিনি গাড়ির রং ও গাড়ির নাম্বার জানতে পারেন, যার নাম্বার হলো যশোর গ-১১-০০৬১ (সিলভার ও হলুদ রং)। বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান তিনি।
অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্ট থানার এস আই রোকনুজ্জামান জানান, অপহৃত মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার তৎপরতা চলমান রয়েছে। বর্ণনা অনুযায়ী গাড়িটি সনাক্ত হয়েছে, তবে সিলভার ও হলুদ রং এর প্রাইভেটকারসহ মালিক ও চালক পালিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গাড়িটি আটক বা ভিকটিম উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুর জট খুলছে না বলে জানান তিনি।
বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে, বিগত কয়েক মাস ধরে শার্শা ও বেনাপোল সীমান্তে মাদক বহন ও অপহরণের মতো নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রহস্যময় এই প্রাইভেটকারটি।
সীমান্তজুড়ে এসবের নেপথ্যে রয়েছে ঢাকা, যশোর ও বেনাপোলব্যাপী একটি শক্তিশালী চক্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য চক্রটির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তাই মহাসড়কে সম্পূর্ণ বেআইনি বিভিন্ন রং ব্যবহার করে গাড়ি চালালেও জবাবদিহির আওতায় আসছে না তারা।
জানতে চাইলে যশোর বিআরটি এর সহকারী ইন্সপেক্টর আব্দুল মতিন জানান, গাড়ির কাগজপত্র বা ব্লু-বুকে উল্লেখিত একক রং ব্যতীত একাধিক রং ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, যা শাস্তিযোগ্য। এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে দ্রুত ছদ্মবেশী চক্রের হোতাদের মুখোশ উন্মোচন করার দাবি এলাকার সুশীল সমাজের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন