সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হেনস্তার শিকার হন- এ খবর এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি। তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই বিরোধী মত জানিয়ে আসছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার (রোজিনা ইসলাম) বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগও আনা হয়েছে।
তবে গণমাধ্যমের নজরে আসা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো একটি কক্ষে সোফায় বসে আছেন রোজিনা ইসলাম। প্রশাসনের কোনো ব্যক্তি বলছেন- ‘আপনার পরিচয় আছে, আপনি যে কাজটা করছেন....।’
তখন রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমি তো ভুল করছি, আমি তো বললাম। আমি মুসলেকা দিচ্ছি।’ তিনি আবারও বলেন- ‘আমি মুসলেকা দিয়ে দিচ্ছি।’
এ সময় প্রশাসনের আরেক নারী সদস্য বলেন, ‘আপনাকে তো কেউ চেনে না, আপনি কিসের মুসলেকা দেবেন।’
জিজ্ঞাসা করা প্রশাসনের ওই প্রথম ব্যক্তি আরো বলেন, ‘আপনার তো আইডেন্টিটি কার্ড আছে। কিন্তু আপনি আজকে যে কাজটা করেছেন সেটা আইনগত অপরাধ, সহজ কথা।’
তখন আরেক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘যে কাজ করেছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুসলেকা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’
তখন কোনো একটা বিষয় নিয়ে রোজিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘না, আমি কিছু করতে পারবো না। আমি তো বলছিই।’
<<<ভিডিও দেখুন>>>
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। তাকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং মামলা করা হয়। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করার পর তাঁর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন