বান্দরবানের সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত
করোনা সংক্রমণে লকডাউনের মাঝেও বন্ধ থাকেনি ইয়াবার পাচার। বরং আগের তুলনায় পাচারের হার বেড়েছে কয়েকগুণ। সড়কপথে কড়াকড়ি থাকায় সাগরপথেই ইয়াবার চালান মিয়ানমার থেকে ঢুকছে বাংলাদেশে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামকে ট্রানজিট করে সারাদেশে ছড়াচ্ছে। এমন তথ্য সংশ্লিষ্টদের।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চলতি বছর দফায় দফায় লকডাউন বাড়িয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত করেছে সরকার। পাশাপাশি অযাচিত যানবাহন ঠেকাতে সড়কপথে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি। এর মাঝেও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে ইয়াবার পাচার।
র্যাবের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে উদ্ধার করেছে ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ইয়াবা। আর আটক করা হয়েছিল ১১০ জনকে। তার বিপরীতে চলতি মাসের প্রথম ৫ মাসেই ২৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, বাঁশখালী ও আনোয়ারা শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। এ ছাড়া পতেঙ্গার দিকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে।
অনুসন্ধানে বের হয়ে আসছে, সড়কপথ এড়িয়ে মাদক পাচারকারীরা ইয়াবা পাচারের জন্য সাগরপথকে বেছে নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে নৌকা করে গভীর সাগরে মাছ ধরা ট্রলারগুলোতে ইয়াবা তুলে দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মুজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, তারা নদীপথে জেলে হিসেবে ইয়াবা নিয়ে আসেন। পরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এ অবস্থায় ইয়াবার পাচার ঠেকাতে কর্ণফুলী নদী এবং বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি বন্দর জোনের কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম মেট্টপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, সম্ভাব্য যে জায়গায় ইয়াবা নামানো হয়ে সেসব জায়গায় তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।
নগরীতে পুলিশের হাতে ইয়াবা বিক্রির কোটি টাকাসহ আটক হয়েছে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী। এ ধরনের ছোট-বড় অন্তত ৪০টি সিন্ডিকেট সরাসরি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তথ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন