বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে কথা হচ্ছিল দুইদিন আগে ঝড়ের আঘাতে পন্টুনের তার ছিঁড়ে নদীতে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ মাইক্রোবাসচালক মারুফ হোসেনের ভাই শাহীন চৌধুরীর সঙ্গে।
কথার এক পর্যায়ে তিনি আক্ষেপ করে বলছিলেন, আমার ভাই সাঁতার জানতেন না, সাঁতার না জানার কারণে ভাইকে হারিয়েছে, বলে লাশের কাছে বিলাপ করতে থাকেন।
কেঁদে কেঁদে তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের জন্য আজ দুইদিন ধরে পরিবারের লোকজনসহ সবাই ঘাটে বিভিন্ন স্থানে লাশ খুঁজে বেড়াচ্ছি। তবু ভাইয়ের লাশটি পাওয়ার কোনো আশা দেখছিলাম না। হঠাৎ একটি ফোন আসে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মোন্নাফ আলীর, তিনি ফোনে জানান দৌলতদিয়া নতুন করে তৈরি হওয়া ৭নং বাহিরচর ১ নম্বর ওয়ার্ডের আদরগ্রামের নদীপাড়ে একটি লাশ পাওয়া গেছে।
তখন ছুটে গিয়ে আমার ভাইকে পাই। আরে ভাই তোকে সেই পাওয়াটাই পেলাম, কিন্তু জীবিত পেলাম না ,কাঁদতে কাঁদতে আজ কয়েকদিন চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছি বলে আক্ষেপ করতে থাকেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের আদরগ্রামের বাবলু মাতব্বর বলেন, খুব ভোরে ব্রাশ করতে করতে নদীর পাড়ে গিয়ে একটি লাশ পানিতে ভাসছে। দেখে পুলিশকে খবর দেই এবং ভাবি সেদিনের মাইক্রোবাসের চালকের লাশটি হতে পারে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল হক মামুন বলেন, লাশটি পাওয়ার খবর পাওয়ার পর সরেজমিন লাশের কাছে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, লাশটি পাওয়ার খবর আমরা স্থানীয় এক মাতব্বর কাছ থেকে পাই । পরে ১ কিলোমিটার দূরে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকার নদী থেকে আমরা লাশটি উদ্ধার করেছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন