‘ফেরি দিনে বন্ধ রাতে খোলা’ এই লুকোচুরি খেলায় ভোগান্তির শিকার দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার হাজার হাজার যাত্রী। শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রী সামাল দিতে প্রশাসন হিমসিম খাচ্ছে রীতিমত।
দিন যাচ্ছে আর শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়ছে কয়েকগুণ। রোববার শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও যাত্রীর ঢল ঠেকানো যায়নি। ফেরি না থাকলেও বিভিন্নভাবে পাড়ি দিচ্ছে পদ্মা নদী।
দিনের বেলা ফেরি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখলেও যাত্রীরা বিভিন্নভাবে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। কিছু যাত্রী জেলে নৌকা, ট্রলার ও বালুবাহী বাল্কহেড দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বর্তমানে ২৫ হাজারের মতো যাত্রী ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর মধ্যে মাওয়া নৌ পুলিশের আইসি মো. সিরাজুল কবীর যুগান্তরকে জানান, অবৈধভাবে ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপারের কারণে মাঝ পদ্মায় ১৮টি ট্রলার আটক করেছে মাওয়া নৌ পুলিশ। তাদেরকে মোবাইল কোটের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি সব যাত্রীরা ফেরি পারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাটে পল্টনে, বাসস্ট্যান্ডে, যাত্রী ছাউনিসহ বিভিন্ন যায়গায় অবস্থান নেয়।
দিনে ফেরি বন্ধ থাকলেও লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি ওষুধ ও কাঁচামালবাহী ট্রাক পারাপারের জন্য ৬টি ফেরি চলার অনুমতি দেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাবাজার থেকে ফেরি গুলো কিছু যাত্রী ও পরিবহনসহ ছেড়ে আসে। শিমুলিয়া ঘাটে রাত সাড়ে ৯টায় আসার কথা থাকলেও যাত্রীদের চাপে ফেরিগুলো ভিড়তে পারছে না। শিমুলিয়া ঘাটের অদূরে নদীতে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত দায়িত্ব সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, মাওয়া ঘাটে বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজারের মত যাত্রী রয়েছে পারের অপেক্ষায়। মাইকিং করে সারাদিন ফেরি বন্ধের ঘোষণা দিলেও যাত্রীরা ঘাট ছাড়ছেন না।
তিনি আরও জানান, যাত্রীদের ধারণা রাতে ফেরি চলাচল বহাল থাকবে, আর এই সুযোগে তারা পার হবেন। এই অপেক্ষায় দিনভর যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীরা জমায়েত হতে থাকেন সব বাধা উপেক্ষা করে।
এ দিকে লঞ্চ, সি-বোট, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে হাজার হাজার বাড়ি ফেরা যাত্রী।click here
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন