বঙ্গবন্ধু উপাধি দেবার ময়দান, ৭ই মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পনের স্মৃতি সংরক্ষণ, স্বাধীনতা অর্জনে বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট উপস্থাপনসহ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর ভাষণস্থল সংরক্ষণসহ আনুষাঙ্গিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কাটা পড়ছে এসকল গাছ।
শনিবার এলাকাটি ঘুরে দেখা যায়, ময়দানের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত হচ্ছে ৫টি ফুড কিয়স্ক। কর্মকর্তারা জানান, মোট ৮টি ক্যান্টিন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও গ্রাউন্ড কার পার্কিং, মসজিদ, ওয়াকওয়ে, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। নির্মাধীন স্থানগুলোর পাশেই পড়ে রয়েছে কাটা গাছের গুড়ি।
গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে পরিবেশ বান্ধব সংগঠন ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। কাটার লক্ষ্যে যেসকল গাছ চিহ্নিত করা হয়েছে সেসকল গাছে বিভিন্ন শহীদের নামে পোষ্টার ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
পরিবেশবিদদের দাবি, রাজধানীতে বিভিন্ন সময়ে উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। এখানকার ২ কোটি মানুষের অক্সিজেনের ফুসফুস হিসেবে ধরা হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গাছ কাটা ছাড়াও এসকল স্থাপনা নির্মাণ সম্ভব ছিলো।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ ৩য় পর্যায়ের এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয় ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি। প্রাক্কলিত ব্যয় ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুন নাগাদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় গণপূর্ত অধিদপ্তর। জানা যায়, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পটির ৪৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় জানায়, ইতিহাস সংরক্ষণসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কিছু গাছ কাটা হলেও প্রায় ১ হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন