করোনা ভাইরাসের টিকা পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, টিকা পেতে ওয়াশিংটনকে কূটনৈতিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা। সেই চিঠিতে অনুদান হিসেবে টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ।
যদি অনুদান হিসেবে টিকা না দেয়া হয় তবে ওয়াশিংটনের কাছ থেকে টিকা কিনতে বাংলাদেশ রাজি আছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকার চাহিদা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া শুরু হলেও, পরবর্তীতে ভারতে করোনার ব্যাপক বিস্তারে বাংলাদেশকে টিকা দেয়া বন্ধ করে দেয় দিল্লি। তাতে করে টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পরে সরকার।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা চাই, আমাদের সব নাগরিক যেন ভ্যাকসিন পায়। আমরা জেনেছি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬০ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা চিঠির মাধ্যমে তাদের কাছে ভ্যাকসিন চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘চিঠিতে আমরা বলেছি, তোমরা (যুক্তরাষ্ট্র) অনুদান হিসেবে আমাদের টিকা দাও, যদি তা না হয় তোমরা চাইলে আমরা কিনে নিতেও রাজি আছি। যুক্তরাষ্ট্র এখনও আমাদের চিঠির জবাব দেয়নি। আমরা চেষ্টা করছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেন ভ্যাকসিন পাই।’
ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের ওপর একক নির্ভরতা নিয়ে দেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এর আগে টিকা পেতে চীন ও রাশিয়াকে সরকার বারবার প্রস্তাব দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন পেতে সরকার এত দেরিতে কেন সিদ্ধান্ত নিলো- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের ভ্যাকসিন রাখতে হয় খুব ঠান্ডা জায়গায়। আমাদের এখানে ওই ধরনের কোনও সুযোগ নেই। এটা নিয়ে মুভ করাও কঠিন। তাই ফাইজারের টিকা আনতে আমরা রাজি ছিলাম না। তবে বেসরকারিভাবে দু-একটা প্রতিষ্ঠান আনতে চেয়েছে, আমরা বলেছি- কোনও সমস্যা নেই।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানান, উপহার হিসেবে চীনের দেয়া ৫ লাখ ডোজ করোনার টিকা আগামী ১০ মে’র মধ্যে দেশে পৌঁছুতে পারে।
এদিকে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-৫ এর জরুরি ব্যবহারে গত ২৭ এপ্রিল অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের মধ্যে প্রথম ধাপে রাশিয়া থেকে এ টিকার ৪০ লাখ ডোজ দেশে আসার কথা রয়েছে।
রাশিয়ার টিকার অনুমোদনের দুদিন পর গত ২৯ এপ্রিল চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোর টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন