হেফাজতে ইসলামের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার মধ্যরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাও গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনটি প্রস্তাব রাখেন হেফাজত নেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই বৈঠকের পর প্রতিনিধি দলটির একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, তাদের আলোচনায় মূলত তিনটি বিষয়টি এসেছে- ঢালাও গ্রেপ্তার বন্ধ, সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ঘটনাগুলোর তদন্ত এবং কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন, কোনো ঢালাও গ্রেপ্তার হচ্ছে না, সাম্প্রতিক সময় দেশে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
হেফাজত নেতারা বলছেন, তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাগুলোর সঠিক তদন্তের অনুরোধ করেছেন এবং একই সঙ্গে বলেছেন, হেফাজত সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, এমনকি তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনও নয়।
একই সঙ্গে রোজার মাসে কওমি মাদ্রাসার আয় বেশি হয় এবং অনেক মাদ্রাসায় এতিম শিক্ষার্থীরা থাকে উল্লেখ করে মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার অনুরোধ করে হেফাজত নেতৃবৃন্দ। জবাবে এটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিষয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীসহ বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ২৬ মার্চ থেকে তিন দিন ধরে হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং হাটহাজারীসহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক সহিংসতা হয়, সেই সহিংসতার ঘটনাগুলোর ব্যাপারে ১০০টির মতো মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও ২০১৩ সালে হেফাজতের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে যে সহিংসতা হয়েছিল, সেই মামলাগুলোতে এখন তাদের কয়েকজন নেতাকে আটক দেখানো হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন