করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনে সারা দেশের ন্যায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র, অসহায় মানুষদের এবার কেউ কোনো সাহায্য করছে না। ফলে ক্ষুধাতাড়িত চোখগুলোর দিকে তাকালে হতাশা আর অনিশ্চয়তার ছবিই ভেসে ওঠছে।
করোনা ভাইরাসের প্রথম (২০২০) দিকে দরিদ্র, অসহায়দের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগে খাদ্য সহায়তায় দিয়ে থাকলেও করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তেমনটি দেখা যাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী ও মালবাহী মোটর শ্রমিক, অটোরিকশা চালক, চা-দোকানী, দিনমজুর, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট মাদরাসার শিক্ষক এবং ফুটপাথের ছোট অসংখ্য ব্যবসায়ীরা লকডাউনের কারণে এখন ঘরবন্দি। তাদের জীবন চলছে ভীষণ কষ্টে। অনেকেই খাদ্য সংকটে আছেন। তবে দিন আনে দিন খায়, এমন মানুষগুলোর বিপদ এখন সবচেয়ে বেশি। জীবন বাঁচাতে এখন তাদের প্রয়োজন খাদ্য সহায়তায়। তাই সংযমের এ মাসে অসহায় কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি সচ্ছলদের প্রতি আহ্বান জানান বিপন্ন মানুষগুলো।
২০২০ সালের দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন দেওয়া হয়। সে সময় সরকার নানাভাবে সাহায্য সহায়তা ও প্রণোদনা দেয়। সমাজের বৃত্তবান মানুষও গরিব ও দুস্থদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন স্পটে সাধারণ গরিব মানুষকে সাহায্য সহায়তার দৃশ্য দেখা যেত। এবার সরকার গরিবদের সহায়তার ঘোষণা দিলেও সেটা ‘কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ প্রবাদের মতো হয়ে গেছে। গত বছর ৬৪ জেলায় ত্রাণ তৎপরতা ও গরিব মানুষের তালিকার তদারকির জন্য ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দলীয়করণ এবং আমলাদের দুর্র্নীতির কারণে বেশিরভাগ গরিব সরকারি সহায়তা পায়নি। সুজন, সিপিডি, টিআইবি ওই সময়ের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি ও গরিবদের সরকারি ত্রাণ না পাওয়ার চিত্র তুলে ধরেছে। এবারও ৬৪ জেলায় সচিবদের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে সাহায্য সহায়তা করা হয়েছে বলে মিডিয়ায় খবর আসেনি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন