করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ দিনের মাথায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ সারাহ বেগম কবরী। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ফুসফুসে শতভাগ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ। শনিবার সকালে অভিনেত্রীর মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান তিনি।
অধ্যাপক ফারুক বলেন, ‘এখানে তাকে নিয়ে আসার পর আমরা আইসিইউ-তে তার পরীক্ষা করি। তার দুই ফুসফুসেই শতভাগ সংক্রমণ ছিলো। এই সংক্রমণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় উনি অক্সিজেন মেইন্টেইন করতে পারছিলেন না। আবার গতকাল দুপুরের পর থেকে ওনার ব্লাড প্রেসার ও হার্ট রেটের পরিবর্তন হতে থাকে। আমরা তাকে সব রকম বিশেষায়িত চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও উন্নতি হয়নি। একপর্যায়ে রাত ১২টা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।’
অধ্যাপক ফারুক আহমেদ জানান, কবরীকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন তার ফুসফুসের ৬৪ শতাংশ সংক্রমিত ছিল। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পোর্টেবল এক্স-রে দিয়ে পরীক্ষা করে জানা যায়, তার ফুসফুসের শতভাগ সংক্রমিত ছিল।
গত ৫ এপ্রিল কবরীর নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ওইদিন রাতেই তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে স্থানান্তর করা হয় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আইসিইউতে। ১৫ এপ্রিল নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন