একদিন রোজগার না হলে যাদের ঘরের চুলো জ্বলে না; তাদের পেটের তাগিদ মানে না করোনা, মানে না লকডাউন। তাই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউবাজার অস্থায়ী শুঁটকি পল্লীতে শ্রমজীবী এমন তিন শতাধিক মানুষ কাজ করছেন।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩ দফা বিধি-নিষেধ দিয়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।
তবে বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, সাগর থেকে ট্রলারবোঝাই করে টাইগার চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বউবাজার শুঁটকি পল্লীর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ওই সব মাছ কেউ নামিয়ে জড়ো করছেন। কেউ আবার শুঁটকি তৈরির প্রক্রিয়া করছেন। এ কাজে সেখানে তিন শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি। তবে তাদের নেই কোনো সামাজিক দূরত্ব। নেই মুখে মাস্ক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বউবাজার শুঁটকি পল্লীর কয়েকজন শ্রমিক জানান, দৈনিক তাদের রোজগার না হলে পেটে খাবার জুটবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজে নামতে হচ্ছে তাদের।
ওই শুঁটকি পল্লীর শ্রমিক সুখি বেগম ও আছমা বেগমসহ কয়েকজন বলেন, আমরা যদি কাজ না করি কেউ তো আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করে না। কাজ না করলে তো আমরা না খেয়ে মরব।
তারা বলেন, আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন। আমরা কাজ করব না।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি উপক্ষোর খবর পেয়ে শুক্রবার শুঁটকি পল্লী থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে শনিবার আবার শুঁটকি পল্লীতে শ্রমিকরা কাজে শুরু করতে পারেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে শুক্রবার বিকাল ৩টায় চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মমিনুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন