স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, এ পর্যন্ত সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজার ৮১ জন মারা গেছেন। তিনি বলেন মৃতদের মধ্যে চট্রগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ৮০৮ জন, রাজশাহীতে ৫৪১ জন,খুলনায় ৬২৮, বরিশালে ৩০১, সিলেট বিভাগে ৩৪৬জন, রংপুরে ৩৯১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২১২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে আরো জানায় সারদেশের হাসপাতালে করোনারোগীদের জন্য মোট শয্যা রয়েছে ১০ হাজার ৭০৮টি। এর মধ্যে ভর্তি রোগী রয়েছে ৫ হাজার ৫৯৬ জন আর খালি রয়েছে ৫ হাজার ১১২টি। এছাড়া আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৮২৫টি এর মধ্যে ভর্তি রোগী রয়েছে ৬৫২টি আর খালি রয়েছে ১৭৩টি ।
এছাড়া সারাদেশে মোট অক্সিজেন সিলিণ্ডারের সংখ্যা রয়েছে ১৭ হাজার ৭২৪টি, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা রয়েছে ১ হাজার ৩৪৮ আর অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে ১ হাজার ১৩২টি। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন, সারাদেশে ভ্যাকসিন নিবন্ধন করেছেন, ৭০ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৫ জন।
এদিকে ১৫ এপ্রিল প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, ২৬ হাজার ৭৫০ জন, আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ১০ হাজার ৫৭৯ জন এবং সারাদেশে সর্বমোট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ১৭৫ জন। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে ৫৬ লাখ ৭৬ হাজার ৩১৩ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ ১৫ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৮৮২ জন, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৮০০, রংপুরে ৩৫, খুলনায় ৪২, বরিশালে ৩০, রাজশাহীতে ৬৩ সিলেটে ১০৭ এবং ময়মনসিংহে ১৬ জন। সারাদেশে মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে আরও জানা যায় নমুনা সংগ্রহ ও সম্পাদিত পরীক্ষা ল্যাব ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এণ্ড রেফারেল সেণ্টার ১৫ এপ্রিল নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করেছে ২ হাজার ৪৮টি। সর্বমোট পরীক্ষা করেছে ৭ লাখ ২ হাজার ২৮৪টি।
আইইডিসিআর নমুনা পরীক্ষা করেছে ৯৪০টি। সর্বমোট করেছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৭২টি আর ন্যাশনাল পোলিও মিজেলস ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করেছে ২৪০টি। সর্বমোট পরীক্ষা করেছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৫টি। এছাড়া আইসিডিডিআর, বি পরীক্ষা করেছে ৪৫৫টি। সর্বমোট করেছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৭০৫টি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন