গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমির ফসল খাওয়ায় ছাগল জবাই করে খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে আজিজুর রহমান খান (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ও তার সহযোগীরা। বুধবার দুপুরে উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের রয়েন গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত ওই যুবক রয়েন গ্রামের মৃত আবুল হাসেম খানের ছেলে। তিনি তিন সন্তানের জনক। এ ব্যাপারে বুধবার রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া সার্কেল এসপি) ফারজানা ইয়াসমিন জানান, খবর পেয়ে বুধবার রাতেই ওসি একেএম মিজানুল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী চাচাতো ভাই আজহারের ছাগল আজিজুরের সবজি বাগানে ঢুকে দীর্ঘ দিন যাবত ফসল নষ্ট করছিল। পরে চাচাতো ভাইয়ের পরিবারকে ছাগল বেঁধে রাখতে বলা হলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি।
মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ছাগল এসে ওই বাগানে ফসল নষ্ট করতে দেখে আজিজ ছাগলটি জবাই করে। পরে ওই দিন দিবাগত রাতে তার সহযোগীদের নিয়ে ওই ছাগলের মাংস রান্না করে খায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার ১১টার দিকে বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় তার বাড়িসংলগ্ন রাস্তায় ওতপেতে থাকা মোস্তাক ও দুই মামা কাউছার, ফয়সাল,তার মা নুরনাহার, ভাগ্নে তানবীর ও নানা করিম পাঠানসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জন মিলে লোহার রড, শাবল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আজিজকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে নিহতের স্ত্রী জানান, আমার স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি পানি খেতে চাইলে মুখে প্রস্রাব করে দেয় অভিযুক্তরা।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে রাতেই হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক রয়েছে। দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন