ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ঢাকার বাইরের রোগীর চাপ আবার বেড়েছে রাজধানীতে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩ জন। এছাড়া আইসিইউতে ভর্তি আছে ৮৩ জন এসডিওতে ৩৭ এবং জরুরি বিভাগে ভর্তি ৬২ জন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার বাহির থেকে ৬০ ভাগ এবং ঢাকাসহ আশেপাশের জেলা থেকে ৪০ ভাগ রোগী চিকিৎসার জন্যে এসেছে। বর্তমানে মোট ৩০৪ জন রোগী ভর্তি আছে। এপর্যন্ত ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১৭৫৩ জন রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ২৭৭ জন আর চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১৪৭৯ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন ৪১৫ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২০ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১ জন। উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিইউ বেডের সংকট দেখা দিয়েছে। সচল ১০টি আইসিইউ বেডেই রোগী ভর্তি রয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটা আগের মতো ভয়াবহতার পথে। এখনই আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখ ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ জন। বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৬৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। পাশাপাশি ১০ জন রয়েছেন আইসিইউ বেডে। সবমিলিয়ে ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ২০টি আইসিইউ শয্যা আছে। সব কয়টি বেডেই রোগী ভর্তি আছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালে প্রতিদিনই করোনা রোগী বাড়ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটেছে। এজন্য রাজধানীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ ও মৃত্যু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আবার বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, রাজধানী মূলত অরক্ষিত অবস্থায় আছে। জেলা পর্যায় থেকে মানুষ রাজধানীতে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছেন। যে কারণে সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়েছে অধিক সংক্রমিত করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।
রাজধানীর নিকটস্থ জেলাগুলোতেও করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। এ অবস্থায় সবাই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চললে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ চূড়ায় যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। রাজধানীর হাসপাতালে শয্যা পাওয়া দুরুহ হয়ে উঠবে। এদিকে রাজধানীকে সুরক্ষিত রাখতে কোরবানির পশুর হাট বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন করোনা মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। কিন্তু সেই পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন