তবে শুধু ভারতই বাংলাদেশের উপর নির্ভরশীল নয়, বাংলাদেশও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের উপর নির্ভরশীল। ২০১৭ সালে এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলেছিলো, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এক আদর্শ উদাহরণ তৈরি করে আরও শক্তিশালী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ-তিন মাসের হিসাবে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এর আগে এই জায়গায় ছিল হংকং। এই সময়ে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে বেশি পণ্য রপ্তানি করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) বাংলাদেশে ৩১৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত।
কয়েকবছর আগে একটি অজানা সূত্রের বরাত দিয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিলো, বাংলাদেশ ভারতের ৪র্থ বড় রেমিটেন্স উৎস। তবে এই নিয়ে গবেষণা করে দাবির সত্যতা পায়নি পিউ রিসার্চ সেন্টার। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকের কেউই এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। তবুও ২০১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রতি বছর ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশ ভারতের ২৫তম রেমিটেন্স দাতা।
অবশ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারত থেকে যেসব স্থানে রেমিটেন্স যায়, সে তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। তবে ভারত থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ এমনিতেই অনেক কম।
একবার এক বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই জানিয়েছিলেন, দেশটির জিডিপির ২৫ শতাংশ কোনও না কোনও পর্যায়ে বাংলাদেশ নির্বর। এতো বিশাল নির্ভরতা চাইলেই এড়ানো সম্ভব নয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের একের পর এক ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার সেটি কখনোই স্বীকার করেনি। ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে শেখ হাসিনার সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে সেটি ভারতের জন্য একটি বড় পাওয়া।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জমির একবার বিবিসিকে বলেছিলেন, ভারত কখনোই চায়না যে বাংলাদেশ তার কোনায় বসে এমন একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছুক যেটি ভারতকেও প্রভাবিত করবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন