আইপিএলের ১৪তম আসরের সপ্তম ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে লড়ছে দিল্লি ক্যাপিটালস।
এর আগের ম্যাচগুলোতে দেখা গেছে টসভাগ্য সহায় হলেও ফিল্ডিং নেন অধিনায়ক।
টসে জিতলেই রাতে শিশিরের ভয়ে ফিল্ডিং বেছে নেন অধিনায়করা। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও এর ব্যতিক্রম করেননি।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক।
আর অধিনায়কের সিদ্ধান্তের মান রাখলেন বোলাররা। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টির মতো ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের ম্যাচে লক্ষ্য ১৫০ ছাড়াতে পারেনি দিল্লি ক্যাপিটালস।
রাজস্থানের উনাদকাত আর মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কুড়ি ওভারে মাত্র ১৪৮ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে দিল্লি।
অর্থাৎ ১৪৯ রানের লক্ষ্য রাজস্থানের সামনে। এই লক্ষ্য ছুড়তে ৮ উইকেট হারাতে হয়েছে দিল্লির।
এই লক্ষ্যও ছুড়তে পারত না দিল্লি যদি না অধিনায়ক ঋষভ পন্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিতেন। রানআউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৯ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন পন্ত। যা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
রাজস্থানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পন্ত ছাড়া আর মাত্র ৩ ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌঁছুতে পেরেছেন।
ললিত যাদব (২০), টম ক্যারান (২১) রানে আউট হন। ক্রিস মরিস ১৫ রানে নট আউট থাকেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।
আজ দিল্লির ইনিংসে ধস নামানোর জন্য প্রধান কারিগর বাঁহাতি পেসার জয়দেভ উনাদকাত। তিনি একাই নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ম্যাচের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই ওপেনার পৃথ্বী শকে ২ রানে ফেরান তিনি। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই আউট করেন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান শিখর ধাওয়ানকে। নিজের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ফেরান অজিঙ্কা রাহানেকে। শিখর করেন ৯ আর রাহানে করেন ৮ রান।
মূলত দিল্লির টপঅর্ডারকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন উনাদকাত। এরপর আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দিল্লি।
উনাদকাদ, সাকারিয়া ও মরিসের ওভারের পর মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক সঞ্জু।
সপ্তম ওভারটি করেন তিনি। মোস্তাফিজের প্রথম ওভারটি ছিল দুর্দান্ত। ক্রিজে ছিলেন দিল্লির অধিনায়ক ঋষভ পন্ত আর অলরাউন্ডার স্টইনিস। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান। কিন্তু মোস্তাফিজের কাটারে পরাস্ত হয়েছেন দুজনেই। ৬ বলে মাত্র এক রান দিয়ে স্টইনিসের উইকেটটি তুলে নেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের শর্ট লেন্থের প্রথম বলটি কোনোমতে কভারে ঠেলে দিয়ে এক রান নেন পন্ত। বাকি ৫ বলে আর স্ট্রাইক রোটেট করতে পারেননি দুই ব্যাটসম্যান। পর পর তিনটি বল ডট দেন মোস্তাফিজ। ওভারের পঞ্চম বলটি আউটসাইড এজ হয়ে স্ট্যাম্পের পাশ কেটে বেরিয়ে যেতে থাকলে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করেন স্টইনিস। কিন্তু পুরোপুরি ব্যর্থ হন। তার ব্যাটকে ছুঁয়ে সোজা চলে যায় উইকেটরক্ষক জস বাটলারের গ্লাভসে।
মোস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ভালো খেলতে থাকা টম ক্যারান। ১৬ বলে ২১ রান করা ক্যারানকে সরাসরি বোল্ড করে দেন কাটারমাস্টার।
স্যামসনের চাতুরতায় অলরাউন্ডার রবিচন্দ্র অশ্বিন ৭ রানে আউট হন। ফলে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি দিল্লি।
১৪৮ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ১৪৯ রানের তাড়ায় ব্যাট হাতে নেমেছে রাজস্থান। ৪ রান জমা করেছেন দুই ওপেনার বাটলার ও ম্যানন ভোহরা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন