শহীদ মিনার – একটি পশ্চিমা সংস্কৃতি

লিখেছেন লিখেছেন এলিট ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১০:২৮:২৮ রাত



শহীদ মিনার আসলে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যেটা ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে বানানো হয়েছে। মৃত মানুষের স্মরনে প্রথম এমন স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়েছিল ১৪৩৮ সালে, অল সোলস কলেজ, ইংল্যান্ডে। এর পরে, কয়েকশত বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন যায়গায় যুদ্ধে নিহতদের স্মরনে বিভিন্ন স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয় এবং নির্দিস্ট দিনে বা সময় সেই স্তম্ভে ফুল রাখা হয়। পশ্চিমাদের দেখে এই সংস্কৃতি বিশ্বের প্রায় সকল জাতি গ্রহন করে। এখন প্রায় সকল দেশেই এমন স্মৃতিস্তম্ভ পাওয়া যায়।

দয়া করে, এটাকে বাঙ্গালী সংস্কৃতি বলবেন না।

এটা এমন এক সংস্কৃতি যেটা আমরা পশ্চিমাদের কাছ থেকে শিখেছি।

ইসলামের খুটিনাটি জ্ঞান থাকলেও, সাধারন জ্ঞান আমাদের খুবই কম। আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো উপাসনা করলে, অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করলে, অন্য কাউকে আল্লাহর বা আল্লাহর ক্ষমতার অংশীদার করলে – সেটাকে শিরক বলে । যে কোন নতুন কাজ (সেটা ইসলামে নেই) যদি ইবাদত (উপাসনা) মনে করে করা হয়, তাকে বিদাত বলে। শহীদ মিনারে যারা ফুল দেয়, তার এটাকে ইবাদত মনে করে না, অর্থাৎ এটা বিদাত নয়। তারা কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ বানায় না, অর্থাৎ এটা শিরক নয়।

শহীদ মিনারে কোটি টাকার ফুল রেখে, পরে সেই ফুলই আবর্জনাতে ফেলে দেওয়াটা অপচয়। এই টাকা ও শ্রম আমরা যদি জন কল্যানে কাজে লাগাতে পারি, শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। আমরা ক্ষুদার্তকে খাবার দিতে পারি, পথশিশুদের লেখা পড়া করাতে পারি, দরিদ্রকে শীতবস্ত্র দিতে পারি, অসহায়কে সাহায্য করতে পারি। এই একদিনে সারা দেশ যত টাকার ফুল কিনে, সেই টাকা দিয়ে আর কিছু না হোক, কয়েক হাজার মানুষের জীবনটাই বদলে দেওয়া যায়।

পশ্চিমাদের কাছ থেকে ফুল দেওয়া শিখেছেন, ওদের কাছ থেকে ভ্লোভাবে বেচে থাকাটাও শিখুন। ওরা দেশের জনগনের প্রয়োজন মিটিয়ে, তার পরে ফুল দেয়।

একদিকে অনাহারি মানুষ আরেকদিকে পাথরের উপরে কোটি টাকার ফুল – এমন বোকামী পশ্চিমা দেশগুলোতে করে না।

বিষয়: বিবিধ

৬৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File