কুরআন ও সুন্নার আলোকে কথাবলার শিষ্টাচার: (বাক_বাগ্মীতা ও কথাবলার শিষ্টাচার-৬)

লিখেছেন লিখেছেন সামসুল আলম দোয়েল ০৫ মার্চ, ২০২০, ০৩:১১:৩২ রাত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

৯. ফালতু তর্ক-বিতর্ক থেকে সাবধানতা:

মুসলিম ইবনু ইয়াসার (রহ.) বলতেন: তোমরা অবশ্যই ঝগড়া-বিতর্ক থেকে সাবধান থাকবে। কেননা, এটি একজন আলিমের অজ্ঞতার মুহুর্ত, এবং এ মুহুর্তে শয়তান এর দ্বারা তার ত্রুটি বা বিভ্রান্তি কামনা করে।

(দ্রষ্টব্য: সুনানে দারেমী: ৩৯৬, ফাতহুল মান্নান:৪১৯, ইবনু বাত্তাহর আল ইবানাহ: ৫৪৭, ৫৪৮,আবু নুয়াইম, হিলইয়া: ২/২৯৪)

রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন: তোমরা বাদানুবাদ করো না। কেননা, তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা বাদানুবাদ করে ধ্বংস হয়েছে। (বুখারী: ২২৭৯,আহমাদ:৩৭৯৩)



হিশাম হাসান ও ইবনু সীরীন হতে বর্ণনা করেন: তারা উভয়ে বলতেন: "তোমরা প্রবৃত্তির অনুসারীদের নিকট বসবে না এবং তাদের সাথে ঝগড়া-বিতর্কে লিপ্ত হবে না। এবং তাদের নিকট থেকে কিছু শুনবেও না।” (আল ইবানাহ নং ৩৯৫, ৪৫৮; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ১৮০৩, দারেমী:৪০১)

১০. চরমপন্থা বর্জনীয়:

কথায় ও কাজে বাড়াবাড়ি করা বৈধ নয়। শরীয়াহর যে সকল বিষয়ে সলফে সালেহীনের যুগ থেকেই একাধিক মত রয়েছে সেখানে কোনো একটা মতকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সেটাই চুড়ান্তভাবে সঠিক ও বাকি মত বাতিল বলাটা কথায় চরমপন্থী। আমাদের সব সময় জাগতিক ও ধর্মীয় উভয় ব্যাপারে সহনশীলতার সাথে ও প্রাজ্ঞতার ভিত্তিতে কথা বলতে হবে। বিশেষ করে শরীয়াহর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সবকটি মতের উপর আলোচনা করে নিজের কাছে যেটা বেশি সঠিক বলে মনে হবে সেটার কারণ সহ ব্যক্ত করাই সহনশীলতা। কোনোক্রমেই ভিন্নমতকে খাঁটো করা যাবে না।

ভিন্নমতকে মেনে নিয়ে নিজের সত্যকে তুলে ধরতে হবে এবং কখনো নিজেই চুড়ান্ত ভাবে সঠিক এই কথা বলা যাবে না। তবে ঈমান (আক্বীদা) ও আমলের ক্ষেত্রে সলফে সালেহীন যুগে যে বিষয়ে মতানৈক্য ছিলো না বা যে বিষয়ে চুড়ান্ত নস (দলীল) রয়েছে সে ক্ষেত্রে চুড়ান্তভাবেই সঠিক কথা বলতে হবে।

শরীয়াহর বিষয়গুলো সহজভাবে উপস্থাপন না করে কঠিনভাবে উপস্থাপন করাও বাড়াবাড়ি, যে বিষয়ে রুখসত বা ছাড় রয়েছে সে সব বিষয়ে কঠোরতা আরোপ করাও চরমপন্থি কাজ।

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চরমপন্থী / অতিরঞ্জনকারীরা ধ্বংস হয়েছে। তিনি এ বাক্যটি তিনবার বলেছেন। (মুসলিম:২৬৭০)1



(الْمُتَنَطِّعُونَ) চরমপন্থী অর্থাৎ দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়িকারী এবং কথায় ও কাজে সীমালঙ্ঘনকারী। সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন করা।

আজে-বাজে কথাকে সুন্দর করে উপস্থাপন করা, দ্বিমতপূর্ণ কোনো বিষয়ে চুড়ান্ত কথা বলা।

১১. শব্দচয়ন ও কথা বলায় সতর্কতা অবলম্বন:

কথা বলা কিংবা বক্তব্য দেয়ার সময় শব্দ চয়ন, বাক্য প্রক্ষেপণ ও উদ্দেশ্যপূর্ণ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো অযাচিত শব্দ, ফালতু কথা যেন মুখ দিয়ে না আসে, যাতে পরে নিজের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে অথবা কথার জন্য না পরে পস্তাতে হয়। সব সময় কথা বলার সময় সাবধান থাকতে হবে।

"তাদেরকে পবিত্র বাক্যের দিকে পথনির্দেশ করা হবে এবং তারা পরিচালিত হবে পরম প্রশংসাভাজন আল্লাহর পথে। (সূরা ২২ হাজ্জ:২৪)



আবূ হুরাইরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সময়কে গালি দিবে না। কারণ, আল্লাহ সময়ের নিয়ন্ত্রক। আর তোমাদের কেউ আঙ্গুরকে (বুঝাবার জন্য) العنب এর পরিবর্তে الْكَرْمَ বলবে না। কারণ, الْكَرْمَ বদান্যতা ও মর্যাদা হলো মুসলিম লোক। (মুসলিম:২২৪৭)2

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন আমার আব্‌দ ও আমাত তথা আমার বান্দা, আমার বান্দী না বলে। কারণ তোমাদের সকল পুরুষই আল্লাহর বান্দা এবং তোমাদের সকল নারীই আল্লাহর বান্দী। সুতরাং বলবে, গোলামী, ওয়া জারিয়াতী, ওয়া ফাতায়া, ওয়া ফাতাতী' (অর্থাৎ, আমার সেবক, আমার সেবিকা।) (সহীহ মুসলিম: ২২৪৯)



আবূ উমামাহ্ ইবনু সাহল ইবনু হুনায়ফ (রহঃ) তার পিতা সাহল (রাযিঃ) এর সানাদে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ, আমার আত্মা খবীস হয়ে গেছে বলবে না; বরং আমার মন সংকুচিত ও বিমর্ষ হয়ে গেছে বলবে। (সহীহ মুসলিম: ২২৫১)

১২. স্পষ্ট করে কথা বলা:

যে কোনো বিষয়ে কথা বলার সময়, বক্তব্যের সময় শব্দকে স্পষ্ট করে শুদ্ধ উচ্চারণে বলতে হবে যাতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হয়। তাছাড়া কঠিন শব্দকে বিশদভাবে ও ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সা. বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না এবং তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করতেন। তার কথা ছিল একটি থেকে আরেকটি পৃথক।3

১৩. তিনবার করে বলা: যে কোনো বিষয় শ্রোতাকে ভালোভাবে শোনানো ও বুঝানোর জন্য কাঙ্খিত শব্দটি তিনবার করে বলা রাসূলের সুন্নাত। বিশেষ করে দাওয়াতি কাজে ও বক্তব্য দেয়ার সময় প্রতিটি বিষয় তিনবার করে বলতে হবে।

আনাস (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাম দিতেন, তিনবার সালাম দিতেন। আর যখন কোনো কথা বলতেন তখন তা তিনবার বলতেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল ইল্ম, হা: ৯৪)

অপর বর্ণনায় এসেছে-

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন কথা বলতেন তখন তা বুঝে নেয়ার জন্য তিনবার বলতেন। আর যখন তিনি কোন গোত্রের নিকট এসে সালাম দিতেন, তাদের প্রতি তিনবার সালাম দিতেন। (বুখারী:৯৫, তিরমিযী: ৩৬৪০)

১৪. ধীরস্থিরভাবে কথা বলা:

কথা বলা ও বক্তব্য উপস্থাপনের সময় যথা সম্ভব সুষ্পষ্ট স্বরে ও ধীরস্থিরভাবে উস্থাপন করতে হবে যাতে উচ্চারিত শব্দগুলো কাঙ্খিত লোকেরা শুনতে পায় ও ভালো ভাবে বুঝতে পারে।

আয়িশা রা. বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের ন্যায় তাড়াহুড়া করে কথা বলতেন না। (বুখারী: ৩৩৭৫)4

১৫. বক্তব্যকে সংক্ষেপ করা প্রজ্ঞার পরিচয়:

অযথা, নিরর্থক বা উদ্দেশ্যহীন কথাকে লম্বা করা ঠিক নয়। শ্রোতার কাছে বক্তব্য বা কথা যেন বিরক্তির কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সেদিকে মনোযোগী হতে হবে। কথা বা বক্তব্য সংক্ষেপ হওয়াটাই সত্যিকারের জ্ঞানীর পরিচয়।

আবুল ইয়াক্বাযান ‘আম্মার ইবনে ইয়াসের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘মানুষের (জুম‘আর) দীর্ঘ নামায ও তার সংক্ষিপ্ত খুতবা তার শরয়ী জ্ঞানের পরিচায়ক। অতএব তোমরা নামায লম্বা কর এবং খুতবা ছোট কর।’’ (মুসলিম: ৮৬৯, আহমাদ, দারেমী: ১৫৫৬)

[b

টিকা:

1. عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم هلك المتنطعون قالها ثلاثا (আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অতিরঞ্জনকারীরা/চরমপন্থীরা ধ্বংস হয়েছে। তিনি এ বাক্যটি তিনবার বলেছেন।) দ্রষ্টব্য: সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ইলম, হা: ২৬৭০, আবূ দাঊদ: ৪৬০৮, সহীহুল জামি‘ :৭০৩৯, মুসনাদুল বাযযার: ১৮৭৭, ১৮৭৮, আহমাদ ৩৬৪৭, মুসনাদু আবূ ইয়া‘লা ৫২৪২, তাবারানীর মু'জামুল কাবীর: ১০৩৬৮, মাজমাউয যাওয়ায়েদ: ১৭৮৪০

2. الْكَرْمَ করম শব্দের অর্থ হলো বদান্যতা, আভিজাত্য, মর্যাদা। শব্দের অর্থানুযায়ী একজন মুসলিমই এই নামে সম্বোধন পাওয়ার যোগ্য। সুতরাং কোনো বস্তুকে এই শব্দে ডাকা বিশেষ করে যেটা মদের উৎস তা ঠিক নয় বলে রাসূলুল্লাহ সা. নিষেধ করেছেন। (দেখুন শরহে নববী, সহীহ মুসলিম: ২২৪৭) অপর বর্ণনায় এসেছে "করম" বলো না, করম হলো মুমিনের অন্তর।

3. হাসান ইবনে আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (আমার) মামা হিন্দ ইবনে আবু হালা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবয়ব ও আখলাক সম্পর্কে সুন্দররুপে বর্ণনা করতেন। আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাচনভঙ্গি সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বদা আখিরাতে উম্মতের মুক্তির চিন্তায় বিভোর থাকতেন। এ কারণে তাঁর কোন স্বস্তি ছিল না। তিনি অধিকাংশ সময় নীরব থাকতেন। বিনা প্রয়োজনে কথা বলতেন না। তিনি স্পষ্টভাবে কথা বলতেন। তিনি ব্যাপক অর্থবোধক বাক্যালাপ করতেন। তাঁর কথা ছিল একটি থেকে অপরটি পৃথক। তাঁর কথাবার্তা অধিক বিস্তারিত ছিল না কিংবা অতি সংক্ষিপ্তও ছিল না। অর্থাৎ তাঁর কথার মর্মার্থ অনুধাবনে কোন প্রকার অসুবিধা হতো না। তাঁর কথায় কঠোরতার ছাপ ছিল না, থাকত না তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের ভাব।

আল্লাহর নিয়ামত যত সামান্যই হতো তাকে তিনি অনেক বড় মনে করতেন। এতে তিনি কোন দোষত্রুটি খুঁজতেন না। তিনি অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর ত্রুটি খতিয়ে দেখতেন না এবং উচ্ছসিত প্রশংসাও করতেন না। পার্থিব কোন বিষয় বা কাজের উপর ক্রোধ প্রকাশ করতেন না এবং তাঁর জন্য আক্ষেপও করতেন না। অবশ্য যখন কেউ দীনি কোন বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করত তখন তাঁর রাগের সীমা থাকত না। এমনকি তখন কেউ তাঁকে বশে রাখতে পারত না। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত কারণে ক্রোধাম্বিত হতেন না এবং এজন্য কারো সাহায্য গ্রহণ করতেন না। কোন বিষয়ের প্রতি ইশারা করলে সম্পূর্ণ হাত দ্বারা ইশারা করতেন। তিনি কোন বিস্ময় প্রকাশ করলে হাত উল্টাতেন। যখন কথাবার্তা বলতেন তখন ডান হাতের তালুতে বাম হাতের আঙ্গুলের আভ্যন্তরীণ ভাগ দ্বারা আঘাত করতেন। কারো প্রতি অসন্তুষ্ট হলে তাঁর দিক হতে মুখ ফিরিয়ে নিতেন এবং অমনোযোগী হতেন। যখন তিনি আনন্দ-উৎফুল্ল হতেন তখন তাঁর চোখের কিনারা নিম্নমুখী করতেন। অধিকাংশ সময় তিনি মুচকি হাসতেন। তখন তাঁর দাঁতগুলো বরফের ন্যায় উজ্জ্বল সাদারূপে শোভা পেত। (সহীহ শামায়েলে তিরমিযী: ১৬৭)

4. উরওয়াহ ইবনুয যুবায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আবূ হুরাইরাহর আচরণ তোমাকে কি অবাক করে না? সে এসে আমার ঘরের এক পাশে বসে আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একটি হাদীস পড়ে শুনাতে লাগলো। আমি তখন সালাতরত ছিলাম। আমার সালাত শেষ হওয়ার পূর্বেই সে উঠে চলে গেলো। আমি যদি তাকে পেতাম তবে তাকে বলতাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের ন্যায় তাড়াহুড়া করে কথা বলতেন না। (দ্রষ্টব্য: আবু দাউদ, জ্ঞান অধ্যায়, হা: ৩৬৫৫, অনুরূপ হাদীস এসেছে বুখারীতে: ৩৩৭৫, মুসলিম: ২৪৯৩) তিরমিযীর বর্ণনায় এসেছে-

আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের মতো দ্রুত গতিতে কথা বলতেন না, বরং তিনি ধীরে সুস্থে প্রতিটি শব্দ পৃথকভাবে উচ্চারণ করে কথা বলতেন, ফলে তার কাছে বসা লোক খুব সহজেই তা আয়ত্ত করে নিতে পারত। (তিরমিযী, কিতাবুল মানাকিব, হা: ৩৬৩৯)

ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আরাফার দিনে (মুযদালিফা) ফিরছিলেন। এমন সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিছন থেকে (উটকে) কঠিন ধমক ও মারধর করার এবং উঁটের (কষ্ট) শব্দ শুনতে পেলেন। তৎক্ষণাৎ তিনি তাদের দিকে আপন চাবুক দ্বারা ইশারা করে বললেন, ‘‘হে লোক সকল! তোমরা ধীরতা ও স্থিরতা অবলম্বন কর। কেননা, দ্রুত গতিতে বাহন দৌড়ানোতে পুণ্য নেই।’’ (বুখারী ও মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ৭১০)

সংকলন ও সম্পাদনায়: সামসুল আলম

[/b]

বিষয়: বিবিধ

৬৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File