ইলিয়াস মাহমুদ নীরব
লক্ষ করুন গাড়িতে ছোট্ট শিশু কি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় লম্বা পথ পাড়ি দেয়ার জন্য শিকল ধরে বসে আছেন। এখানে যেমন করোনার ঝুঁকি নেই! এমনকি জীবনের ঝুঁকিও নেই।
৪২ লাখ পোশাক শ্রমিক দেশে। এদের মধ্যে ৯০% লম্বা বন্ধে বাড়ি গিয়েছেন কর্তা ব্যক্তিরা এসব জানেন।এবং তারা এটাও জানেন গার্মেন্টস খোলার ঘোষণা দিলে এই মানুষগুলো চাকরি বাঁচাতে, পেটের তাগিদে ঢাকা মুখি হবেন। তা হলে তারা আসবেন কি ভাবে?? তা কি জানতেন না??
আজ সকাল থেকে যখন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রওয়ানা দিলেন, সারাটা দিন ভোগান্তি করে অনেকে ঢাকা পর্যন্ত চলে আসলেন, তখন রাতে ঘোষণা আসলো দক্ষিনঅঞ্চলের লঞ্চ চলবে কাল দুপুর ১২ টা পর্যন্ত, গার্মেন্টসের কর্মীরা তো দেশের উত্তর এলাকায়ও থাকে তাদের জন্য বিকল্প কি?? এই প্রশ্ন ওঠার পরে বলা হলো বাসও চলবে!! এই ঘোষণা শুনবে কখন আর যাত্রীরা লঞ্চে উঠবে কখন??
কাল যদি লঞ্চ চলে, বাস চলে, ট্রেনও ছেড়ে দিন। দিয়ে কালকের পর আবার পরশু থেকে ৩ দিনের জন্য বন্ধ রেখে লাভ কি। সব লেঠা আজ থেকেই তুলে দেয়া হোক।
একটা সময় ইউরোপীয়রা এশিয়া আফ্রিকা থেকে জোর করে জাহাজে ভরে আধুনিক শহর তৈরি করার জন্য কাজ করাতে হাতে পায়ে শেকল দিয়ে নিয়ে যেতেন অমানবিক ভাবে।
সেই বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখনকার সিস্টেম এমন যে স্বয়ং দাসরাই এখন স্ব ইচ্ছায় গাঁটের পয়সা খরচ করে গন্তব্যে রওয়ানা দেন।
যারা সাগর পাহাড় পাড়ি দিয়ে ভুমধ্যসাগরের ওপারে পৌঁছায় তাদেরকে কি কেউ জোর করে নেয়? নেয় না।
পুরনো দাসপ্রথারই এটা একটা নতুন ধরন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন