শেখ ফজলুল করীম মারুফ ভাইয়ের লেখা
পাল্টা প্রশ্ন করা শিখেন!
৭১ টিভির একটা ফোনালাপ নিয়ে কেউ কেউ বিব্রত।
কিন্তু কেউ এই প্রশ্ন তুলছে না যে, যদি এই ফোনালাপ সঠিক হয় তাহলে এটা মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ-এর প্রশিদ্ধ স্ত্রীর সাথে তাঁর তথা স্বামীর ফোনালাপ।
স্বামী-স্ত্রীর এই ফোনালাপে আড়ি পাতার ইখতিয়ার ৭১ টিভিকে কে দিয়েছে?
৭১ টিভি যদি অন্য কারো কাছ থেকে এই ক্লিপ পেয়ে থাকে তাহলেও প্রশ্ন হবে সেই অন্যটা কে? তাদের কি ইখতিয়ার আছে কোন স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথনে আড়ি পাতার?
এবং স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন প্রকাশ্য মিডিয়ায় আনা সাংবাদিকতার কোন আইন ও নৈতিকতার মধ্যে পড়ে?
তাদের ফোনালাপে কি ছিলো বা তার মর্ম কি সেই প্রশ্নের আগে এই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে যে,
নাগরিকের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কথোপকথনে কারা আড়ি পাতে? কেন পাতে? কে তাদের এই ইখতেয়ার দিয়েছে?
এই মাসয়ালায় মাওলানা মামুনুল হক হাফিজাহুল্লাহ-এর চেয়ে বড় ইস্যু হলো,
সরকার কিভাবে নাগরিকের একান্ত মুহুর্তগুলোতেও হস্তক্ষেপ করছে তা নিয়ে কথা বলা, প্রশ্ন তোলা।
এই প্রশ্ন এড়িয়ে যারা মামুনুল হক সাহেবের সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবেন তাদের মনে রাখা উচিৎ,
নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের যে ফ্রাংকেস্টাইন আপনারা তৈরি করছেন একদিন সেই দৈত্য আপনার কাঁধেও থাবা বসাতে পারে।
আজকে যারা ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণের প্রশ্ন এড়িয়ে মজা নিচ্ছেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধ নিচ্ছেন একদিন দেখবেন আপনার স্ত্রীর সাথে একান্ত মুহুর্তে করা আপনার শীৎকারও এরা মিডিয়ায় নিয়ে এসেছে।
সেই দিনের অপেক্ষায় থাকো জনতা!!!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন