মিনার রশিদ
এদেশের বিনোদন জগতের এক বরপুত্র সংস্কৃতি মন্ত্রী হয়ে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠানোর নিমিত্তে উঠে পড়ে লেগে গেলেন। নব্বই কোটি টাকা খরচ করে বৃহত্তম মানব পতাকা বানিয়ে জাতিকে কৃতার্থ করলেন। শুনেছি দু’দিন পর সেই রেকর্ডটি আবারও পাকিস্তান নিজেদের আওতায় নিয়ে নিয়েছে। ওদিকে তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে মহাকাশে জাতির পিতার নাম পাঠিয়েছি, সেই স্যাটেলাইট বেচারা নিজের জায়গায় সহি সালামতে আছে কি না- তাও জানার উপায় নেই। গত তিন বছরে জাতির জন্যে কত ডলার কামাই করেছে এবং অবশিষ্ট বারো বছরে কত ডলার উসুল করতে পারবে, সেটি জিজ্ঞাসা করাও নাকি মহাপাপ হবে। কারণ, রাজাকার শাবক ব্যতীত এমন চেতনা বিরোধী হিসাব কেউ জানতে চাইবে না।
আরো দু’টি রেকর্ড আমাদের চেতনার থলিতে জমা হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী একাউন্ট অফিসার এবং সবচেয়ে ধনী ড্রাইভারের জন্ম দিয়ে প্রিয় জন্মভূমি ধন্য হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাউন্ট অফিসার আফজাল পনের হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ওদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের গাড়ি চালক আব্দুল মালেক একটি ১০ তলা বিল্ডিং, দুটি বা তিনটি ৭ তলা বিল্ডিং, ২৪ টি ফ্ল্যাট, তিনটি গাড়ি সহ একশো কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। মহাপরিচালকের দুটি গাড়ির একটি গাড়ি তিনি নিজেই আবার ড্রাইভার রেখে ব্যবহার করতেন।
‘কে -কী -বলছে’ তা যদি শুনতেন তবে এই মালেক-আফজাল কখনোই আমাদের জন্যে এই গৌরবের রেকর্ডটি বয়ে আনতে পারতেন না। কাজেই মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের যে উপদেশ দিয়েছেন, কে কী বলল তাতে কান না দিয়ে কাজ করে যান! এই পরামর্শের দাম বিলিয়ন ও ট্রিলিয়ন ডলার। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তো খালি খালি বলেন নাই, নেত্রী আজ এরিস্টটল, সক্রেটিস প্রমুখ বিশ্ব দার্শনিকদের সারিতে পৌঁছে গেছেন!
বিশ্ব সেরা সেই দার্শনিক এই মহামূল্যবান পরামর্শটি রেখেছেন যখন সারা জাতি মিড-ডে মিল প্রজেক্ট বাস্তবায়নে ১০০০ কর্মচারীকে খিচুড়ি পাকানো শেখাতে বিদেশ যাওয়ার খবর শুনে রীতিমত ‘টাস্কি’ খেয়েছে। এদেশে বালিশকাণ্ড , পর্দা-কাণ্ড সহ গিনেস বুক অব রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার মত শত শত কান্ড এই সরকার করে বসে আছে।
একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, যিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। শেখ হাসিনা থাকলে এদেশে করোনা কিছুই করতে পারবে না- এই কিসিমের কথাটি বলার পরেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র চলৎশক্তিহীন এই ভাইরাসটি মহাশক্তিধর এই নেতার সঙ্গে এই মশকরাটি করে ফেললেন! এই মরহুম নেতার ছেলে আমেরিকায় গিয়ে আলাদিনের চেরাগ পেয়েছেন। সেই পুত্রধন ছাত্র থাকা অবস্থাতেই আমেরিকায় অনেকগুলি দামী ফ্লাটের মালিক বনে গেছেন।
ফরিদপুরের জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাংবাদিকদের হাত পা বেঁধে ফেলার পরেও এই দুয়েকটি কীর্তি লিক হয়েছে মাত্র। পৃথিবীতে ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমাদের দেশটি তৃতীয় হয়েছের এবং অতিধনী বৃদ্ধিতে আমরা প্রথম স্থান দখল করার মত গৌরব অর্জন করেছি।
এই সংবাদগুলোর একটিও মিথ্যে কিংবা গুজব নয়। এগুলি শুনে দেশের মানুষ যতটা না ধাক্কা খেয়েছে তার চেয়েও বেশি ধাক্কা খেয়েছে মিডনাইট প্রধানমন্ত্রীর এই কথায়, “ক্ষমতায় আর কেউ থাকলে মহামারিতে ফায়দা লুটত।”
মরহুম বিচারপতি হাবিবুর রহমান ২০১৩ সালের দিকেই টের পেয়েছিলেন যে দেশটি বাজিকরের হাতে পড়ে গেছে! এবিএম মুসার মত রেগে গিয়ে তিনি ‘তুই চোর’ বলেন নি। শব্দচয়নটি লক্ষ্য করার মত!
কোভিড-১৯ শুরুর প্রাক্কালে কয়েকশ ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞের মৃত্যু হয়েছে। এটার পেছনেও বাজিকরদের সরাসরি হাত ছিল। বলা যায় ভেজাল পিপিই সরবরাহ করে জাতির এই সব রত্নদের হত্যা করা হয়েছে। এগুলির সাথে কারা জড়িত সবাই জানে। কিন্তু কিছুই করার উপায় নেই।
কোভিড-১৯ এর ঝাঁকুনিতে পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থা তছনছ হয়ে পড়ে। কোভিডের প্রাক্কালে দেশের আঠার কোটি মানুষ যে আতংকে পড়ে গিয়েছিল এমন অসহায়ত্ব বোধহয় পৃথিবীর কোনো জাতি আর কখনোই অনুভব করে নাই। রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতেই অক্কা পেয়েছেন। কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে সাহেদ-সাবরিনাদের বাটপারি সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছে। এই ভয়াবহ ট্রমা থেকে এখনো অনেক পরিবার স্বাভাবিক হতে পারে নি। এত কিছুর পরেও যে এমন শিনাজুরি কথা বলতে পারেন, তিনি নিঃসন্দেহে সর্বকালের সেরা বাজিকর! এমন চীজ মনে হয় আল্লাহ তায়ালা তার পুরো মাখলুকাতে একটিই সৃষ্টি করেছেন।
২০০৮ এর নির্বাচনে বিএনপির শ্লোগান ছিল- ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও।’ এই শ্লোগানটি নিয়ে পরবর্তীতে বিএনপির ভেতরেই সমালোচনা বা উসখুশের সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেত্রী এবং দু’জন ইন্টেলেকচুয়াল শফিক রেহমান এবং মাহমুদুর রহমানকেই এই শ্লোগানটি তৈরির পেছনে দায়ী বলে সন্দেহ করা হয়। আজ জাতি মর্মে মর্মে টের পাচ্ছে এই শ্লোগানটি বা সতর্কতা সংকেতটি কতটুকু যথার্থ ছিল।
আপনাদের হয়তো স্মরণে আছে যে, ‘বিল্ডিং নাড়াচাড়া’ তত্ত্বের জনক এবং ফার্মার্স ব্যাংকের খাদক মখা আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মরিচের গুড়া মিশ্রিত পঁচা পানি নিক্ষেপ করেছিলেন। ঐসব মানুষ গড়ার কারিগরগণ সরকারী অনুদান পাওয়ার দাবিতে ঢাকার রাজপথে মিছিল করেছিলেন। সরকারী অনুদান সেই বেচারাদের ভাগ্যে জুটে নাই তবে জুটেছিল মখার জলকামান থেকে মরিচের গুড়া। সেই পঁচা পানির স্প্রে খেয়ে অনেকেই নাকি দুরারোগ্য চর্ম রোগে ভুগছেন। এদের অনেকেই সেই দুঃসহ স্মৃতি আজো বয়ে বেড়াচ্ছেন।
যেই মন্ত্রণালয় অসহায় ও গরীব শিক্ষকদের কয়েক হাজার টাকা বেতন দিতে পারে নাই- সেই মন্ত্রণালয়ই এবার কোটি টাকা খরচ করে এক হাজার কর্মচারীকে বিদেশে পাঠাবে খিচুড়ি পাকানো শিখতে ! কখনো ঘোড়ার, কখনো কুত্তার উন্নত মানের প্রজনন শিখতে, কখনো পুকুর খনন শেখানোর নামে এই হরিলুট চলছে। ট্রেনিংয়ের নামে প্রমোদভ্রমণের নিমিত্তে জাতীয় সম্পদের এই অপচয় ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। একটা জাতিকে ধ্বংস করার মতলব না থাকলে এই ধরণের পরিকল্পনা নেয়া কখনোই সম্ভব হতো না।
মিড-ডে মিল নিয়ে সাংবাদিক সমাজ সোচ্চার হলে এই মন্ত্রণালয়ের গবুচন্দ্র সকলকে বিএনপি জামায়াতের লোক বলে তিরস্কার করেছেন। মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “কে কী বলল তাতে কান না দিয়ে কাজ করে যান।” মিডনাইট প্রধানমন্ত্রীর উপদেশটি ভালোভাবেই পালিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। লুটেরারা ড্যামকেয়ার ভাব নিয়েই লুটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর নির্মাণে প্রাথমিক খরচ হিসাব করা হয়েছিল দশ হাজার কোটি টাকা। এখন সেই খরচ ইতোমধ্যেই ত্রিশ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে ফেলেছে। সর্বশেষ জানা গেছে যে, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে ভয়াবহ ত্রুটির জন্যে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্থিরিকৃত সড়কপথের ন্যূনতম হেডরুম স্ট্যান্ডার্ড মানা হয়নি। সেতুর উভয় প্রান্তের প্রায় ১ মিটার কম উচ্চতার কারণে ভারী যানবাহন আটকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের। এই ত্রুটি সারাতে হলে ইতোমধ্যে নির্মিত পিলার, গার্ডার ও পাইলগুলো ভেঙে ফেলতে হবে।
পদ্মা সেতুর মনিটরিং কমিটির প্রধান আবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই। তিনি প্রতি তিন মাস পর পর সভাও করেছেন। যথারীতি হুমকি ধমকিও দিয়েছেন! এসব প্রকল্পের কাজে কোনো প্রকার দুর্নীতি, অনিয়ম, ঢিলেমি বরদাশত করা হবে না। তাদেরকে এক চুলও ছাড় দেয়া হবে না। বশংবদ মিডিয়া সেসব আগ্রহ ভরে মানুষকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন এই দায়টি কে নেবে? এক চুলের জায়গায় এখন কয় চুল ছাড় দিচ্ছেন? বাজিকরের হুমকি ধমকি এবং লুটেরাদের লুণ্ঠন একই সঙ্গে চলতে থাকে।
কাজেই শেখ হাসিনা ঠিকই বলেছেন। আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আমরা বেঁচে গিয়েছি। এই সময়ে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থেকে অন্য কেউ থাকলে কী হতো তা চিন্তা করলেও শরীর ও মন শিহরিয়ে উঠে! আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাতেই সব কিছুই অল্পের উপর দিয়েই গিয়েছে।
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই কভার সহ বালিশের দাম মাত্র ৫৫ হাজার টাকায় উঠেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই পর্দার দাম ৩৭ লাখ টাকায় সীমিত রাখা সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই গত ১১ বছরে মাত্র সাত বা আট লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। অন্যরা থাকলে পুরা দেশটিই পাচার হয়ে যেত। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মাত্র আটশ কোটি ডলার চুরি গিয়েছে । অন্যরা থাকলে পুরো বাংলাদেশ ব্যাংকটিই গায়েব হয়ে যেতো। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই ব্যাংকের ভল্টের সোনা তামা হয়েছে মাত্র, অন্যরা থাকলে তা নির্ঘাত কয়লা হয়ে যেতো।
শেখ হাসিনা এই দেশে জন্মেছিল বলেই শেয়ার বাজার থেকে দুইবার মিলে (১৯৯৬ ও ২০১০ সালে) মাত্র দুই বা তিন লাখ কোটি টাকা উধাও হয়েছে। অন্যরা থাকলে পুরো শেয়ার বাজারই বিলকুল উধাও হয়ে যেত। কাজেই হাটহাজারী থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত আনাস মাদানীকে নতুন ইমাম বানিয়ে প্রতি সপ্তাহে একদিন শোকরানা দিবস পালন করুন।
তবে যে যাই বলুন জাতির প্রতি শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় অবদানটি সকলের গোচরে এনেছেন এক সময়ের অত্যন্ত গ্ল্যামারাস চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। যতদূর মনে পড়ে তিনি সহ-নায়িকার ভূমিকায় বেশি অভিনয় করতেন। রাজ প্রাসাদ কিংবা জমিদার প্রাসাদে মাতাল রাজা বা রাজপুত্রের চোখে নেশা ধরাতে উন্মাতাল নৃত্য পরিবেশন করতেই বেশি দেখেছি। তিনি জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে গ্রাম্যবালা অঞ্জনারা ব্লাউজ ছাড়াই শাড়ী পরতেন। ঐ সময়ের অঞ্জনা কিংবা অন্যান্য আইটেম গার্লদের সিনেমাগুলি দেখলে এই কথার সত্যতার প্রমাণ মিলবে। বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরতেই অঞ্জনাদের ব্লাউজবিহীন শাড়ী পরতে হতো।
অঞ্জনার মত অনেক নায়িকা তখন সত্যি সত্যি ভয়ানক কাপড়ের অভাবে ভুগেছেন। শাড়ীর সাথে ব্লাউজ তো দুরের কথা, কিপ্টা পরিচালক কাপড় এবং শরীরের মধ্যে এক মিলিমিটার জায়গা খালি রাখত না। ব্লাউজ ছাড়া সেই শাড়ী পরেই আবার বৃষ্টিতে ভিজতে হতো। অঞ্জনাদের সেই গঞ্জনা থেকে উদ্ধার করেছেন শেখ হাসিনা। দেশের সব অঞ্জনারা এখন এই শেখ হাসিনার জন্যেই শাড়ীর সাথে ব্লাউজ পরতে পারছেন! অন্য কিছু না হোক- গ্রাম্যবালা বা অঞ্জনাদের ব্লাউজের মাধ্যমেই শেখ হাসিনা অনেকদিন বেঁচে থাকবেন।
তাই তো কৃতজ্ঞ নায়িকা, গায়িকা, নর্তকী, ক্রিকেটার সবাই মিলে জাতির মুখে তুলে দিচ্ছে, শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার। এককালের প্রিন্সেস জরিনারা এখন দেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণেতা, শাস্তি দাতাও। সংসদেই দেখা মেলে এখন অনেক লাল টমেটোর।
জাতির ভালো মন্দ চিন্তা করার বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্বও এই নীলাঞ্জনাদের কাঁধে চেপেছে। এই নীলাঞ্জনাদের গালের এক তিলের জন্যে আমরাও কবি হাফিজের মতই আমাদের সমরখন্দ ও বুখারা বিলিয়ে দিতে পারি। বিজিবি প্রধানের সর্বশেষ মন্তব্য শুনে মনে হয়েছে, হাফিজ সিরাজীরাই এদেশে সীমান্ত প্রহরার দায়িত্ব নিয়েছে। অতএব, আমরা এখন নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমুতে পারি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন