একটি দেশকে ধ্বংস করার সবচেয়ে প্রধান এবং প্রথম কৌশল হল বুদ্ধিজীবীদের শেষ করে দেওয়া।
৭১ এ সুমহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৪ ডিসেম্বর স্বাধীনতা নিশ্চিত জেনেও দেশটিকে চিরতরে পঙ্গু করার লক্ষ্যে নির্বিচারে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। পুরো দেশ ও জাতিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করার জন্য ওরা দেশের সবচেয়ে মেধাবী, উজ্জ্বল আর আলোকিত মানুষদেরই বেছে বেছে নিধন করে। কারণ বুদ্ধিজীবীরাই দেশ ও সমাজের দর্পণ, তারাই আলো ছড়ায়।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর আবারও নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় একালের দুর্নীতি গ্রস্ত রাজাকার মাফিয়ারা বুদ্ধিজীবীদের কণ্ঠ রোধ করার জন্য তৎপর।
দেশে যখন গার্মেন্টস মালিক এবং অন্যান্য দুর্নীতিবাজদের মানি লন্ডারিং, ব্যাংক লুট, দুর্বল কোম্পানির আইপিও দিয়ে পুঁজিবাজার লুট, নকল মাস্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে কলম যোদ্ধারা যখন সোচ্চার হচ্ছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুর্নীতির সঠিক চিত্র তুলে ধরে সচেতন করতে চাইছেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের গতিকে রুদ্ধ করার অপপ্রয়াস এবং অপ প্রচারণা পুরো বুদ্ধিজীবী মহলকে শঙ্কিত এবং স্তম্ভিত করে তুলেছে।
জাতির পিতার আদর্শের সন্তান, তার চেতনাকে লালন এবং ধারণ করে যেই মানুষগুলো টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ, ক্ষমতার লোভ না করে দিন-রাত্রি দেশ আর জনগণের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন তাদের অপমান আর অপদস্ত করার চেষ্টা আমজনতা মোটেও ভালো ভাবে দেখছেন না।
যেখানে নষ্ট সমাজের চরিত্রহীন, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, সুবিধাভোগী দালালদের কোন বিচার নেই সেখানে চিন্তাশীল, সৃষ্টিশীল, প্রতিবাদী, সৎ মানুষের কণ্ঠ রোধের চেষ্টা দেশের জন্য অশনি সংকেত নয় তো?
লেখক: সম্পাদক, পূর্ব পশ্চিম বিডি নিউজ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন