ড. তুহিন মালিক
মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের জন্য তেজগাঁওয়ে ৩০১ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করছে আকিজ গ্রুপ। সেখানে বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে।আজ তেজগাঁও থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলরের চাঁদাবাজি ও বাধার মুখে বন্ধ হয়ে যায় এই হাসপাতালের কাজ।
এশিয়ার সেরা ধনীদের মধ্যে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ধনীও রয়েছেন। দেশে হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়ী ছাড়াও বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলোতে হাজার কোটির বড়লোকের সংখ্যাও অনেক আছে। অথচ এই moneyদের মান রক্ষার্থে আকিজ গ্রুপ আজকে একাই এগিয়ে এলেন। আকিজ গ্রুপ যে হাসপাতালটি বানাচ্ছেন এরকম একটা হাসপাতাল বানানোর সামর্থ্য কি আমাদের সরকারের নাই? আজ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর যে চাঁদাবাজি করলেন। কোথায় আজকে কোন পুলিশ এসে তো তাকে লাঠিপেটা করেনি! কোন সরকারী কর্মকর্তা তো তাকে কান ধরায়নি! তার বিরুদ্ধে তো অবৈধ জনতাবদ্ধ, হামলা, ভাংচুর, চাঁদাবাজির মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়নি!
কারন, রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকাটি চাঁদাবাজির সবচেয়ে বড় উৎস। এই চাঁদাবাজির টাকা শুধু স্থানীয় নেতা বা কাউন্সিলরের একার পকেটই যায় না। বরং সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এর একটা নির্দিষ্ট কমিশন যথারীতি পৌঁছে যায়। এটাই হয়ে আসছে দেশের সর্বত্র। তবে, আজ যখন গোটা মানবজাতি ভয়ংকর এক মহামারীর মুখে দাড়িয়ে। এই কঠিন সময়ে মহামারী আক্রান্তের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য বেসরকারী উদ্যোগে নির্মানাধীন হাসপাতালও যদি এইসব রাজনৈতিক দূর্বৃত্তের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। আর রাষ্ট্র যদি নির্লিপ্ত থাকে। তাহলে মানুষের জীবনের চেয়ে তাদের কাছে হয়ত ‘অন্যকিছু’ বেশী গুরুত্বপূর্ণ!
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন