আলী রীয়াজ
আসামে এনআরসির পরে সারা ভারতে এনআরসির ধুয়ো তুলেছে বিজেপি। বলতে পারেন এনআরসি জুজু। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে এখন মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বাংলাদেশি’ বলে প্রচারের মুখে এবং ভয়ের কারণে এখন পর্যন্ত যে সংখ্যায় মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেছে তার সংখ্যা সামান্য। কিন্তু বিজেপি নেতারা বলেছেন সারা দেশে এনআরসির আগে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন হবে। এবার অনুমান করার চেষ্টা করুন ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ার পরে কি ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে। ভারত বারবার বলেছে যে এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, তাহলে এর প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশকে বইতে হবে কেন? কিন্তু এখন পর্যন্ত এই নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই, বরঞ্চ ভারতের ক্ষমতাসীনদের ভাষায়ই কথা বলেছেন বাংলাদেশের সরকারি মহল। গত কয়েকদিনে সীমান্তে যা ঘটেছে তা কেবল ইঙ্গিত। সেইভাবে বিবেচনা না করলে আগামীতে এর মোকাবেলা করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে সংশয়ী হতে হয়। কেবল সরকার নয়, সিভিল সোসাইটির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা জরুরি।
নির্বাচিত মন্তব্য : আসিনুর রহমান সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কয়েকশ মানুষের উপস্থিতি এখনো সরকারকে ভাবিয়ে তুলছে না কেন এর জবাবে যা জানা গেলো, তারা বাংলাদেশের নাগরিক সেখানে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলো। আর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো ভারতীয় প্রতিপক্ষের কথায় নিশ্চিন্তে আছেন সেটা ভারতের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বাংলাদেশের চিন্তার কিছু নেই এ কথা শুনে। এদিকে কলকাতায় কিছু লোককে জড়ো করা হয়েছে বাংলাদেশে পুশ ইন করার উদ্দেশ্যে। এজন্য সেখানে মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। ফেসবুক থেকে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন