ডা.এম আব্দুস সালাম আজাদী
কবি আলমাহমুদ
১৯৮৯ সালে ডঃ তরিক ভাইয়ের স্ত্রী আমাদের শ্রদ্ধেয়া ভাবী কবি আলমাহমুদের একটা সাক্ষাতকার নেন। ভাবী তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজমের ছাত্রী। তিনি ঘুরে ফিরে একটা কথা কয়েকবার কবিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সাহিত্যে তার যে অশ্লীলতা তার জন্য এখন ইসলামী জীবনে এসে কি খারাপ লাগেনা? তিনি বলেছিলেনঃ দেখুন, আসলে আমি মনে করি, অযু করে সাহিত্য হয়না।
সেই থেকে কবির সাথে আমার আলাদা পরিচয়। আগে তার কবিতা পাঠ্য পুস্তকে পড়েছি, ঈদ সংখ্যা সমূহে দেখেছি, কিংবা সাহিত্যের নানা অনুষঙ্গে তার কবিতায় ভেসেছি।
তার সাথে প্রথম পরিচয় হয় “যে ভাবে বেড়ে উঠি” এর মাধ্যমে। বইটা আমি প্রথম দেখি ইসলামাবাদে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে আমার বন্ধু ও বড় ভাই আব্দুল হামিদের কাছে। রিয়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে তার কাছে কিছু দিন থাকি। তিনি আমাকে মারিয়া পাহাড় দেখাতে নিয়ে যান এবং এই বইটা পড়তে দেন। অসম্ভব রকমের ভাষার জন্ম দেয়া এক কাব্যিক ঊপন্যাস পড়ে আমি অভিভূত হয়ে যাই। রবীন্দ্র, শরত চন্দ্র, বংকিম সহ শত শত গল্পকারদের লেখার চেয়ে সম্পূর্ণ নতুন স্রোত, নতুন রং- রূপ- ঢং, নতুন গেঁয়তার স্বাদ ও গ্রামের সারল্যভরা কখন ও তদ্ভব ও কখনো অপভ্রংশ শব্দের যোজনা, নতুন আরবী ফার্সি শব্দের কুমিল্লাময় প্রয়োগ আমাকে সত্যিই আন্দোলিত করে। আমি তার সাহিত্যাকাশের সব তারাদের সাথে প্রেম প্রেম খেললাম।
এই সময়ে তিনি পুরোপুরি ইসলামকে বন্ধু বানায়ে নিলেন। এবং কখনো থুতনির নিচে, কখনো চোখের মণিতে ও ভ্রুর বংকিমতায়, আবার ক্ষণে ক্ষণে হাতের কলমে ও পায়ে পায়ে এগিয়ে চলা ইসলামি সাহিত্য বাসরে সেই ইসলামের রূপ ফুটিয়ে তুলতে লাগলেন। শায়খ কবি মতিউর মল্লিক ভাই ও তার বন্ধুদের অবদানে আলমাহমুদের সাথে পাওয়া সৈয়দ আলী আহসান, কবি ফারুক মাহমুদ, আব্দুল মান্নান সৈয়দ, কবি মোশাররাফ হোসাইন খান, বুলবুল সারওয়ার, তমিজউদ্দীন লোদী ইত্যাদি গণের মাধ্যমে একটা ধারা ও স্রোত সমানে এগুচ্ছে।
কবি আলমাহমুদের এই গতি পরিবর্তন ঢাকার সাহিত্য বাসরের পানশালায় মারাত্মক ধাক্কা নিয়ে আসে। কলমের খোঁচা, মুখের টোব্যাকো বা গাঞ্জার গন্ধময় শব্দের বিষাক্ত ছোবল, নানান খুনসুটির আকরে বের হওয়া প্রবন্ধ কবিতায় বা গল্পে আলমাহমুদকে নিস্তনাবূদ করার চেষ্টা যখন খুব মারাত্মক ভাবে চলছে তখন তিনি কবি নজরুলের মত ইসলামের পক্ষেই শক্ত হয়ে দাঁড়ালেন। ভয় পেলেন না, থমকে দাঁড়ালেন না, পিছু টান দিলেন না, তিনি হাঁকালেন বখতিয়ারের ঘোড়া। হোক না মাত্র ১৭ ঘোড়সাওয়ার, কিন্তু দাঁড়ালেন আযানের সুর হয়ে, কুরআনের মখমলে সাহিত্যের কোলে শুয়ে এবং জয় করলেন ইসলামি পিপাসু মানুষের হৃদয়। মনে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি ডাকাতদের গ্রাম ও বলেছিলেন সেই সময়।
একবার মদীনায় ছোট ভাই ডঃ মোস্তাফা কামিল কবির একটা প্রবন্ধ নিয়ে আসেন। তার গ্রন্থিত প্রবন্ধ সংকলনের সেটা আমাকে খুব আকর্ষণ করে। তার ইসলামে ফিরে আসার কারণে শাহরিয়ার কবিরের একটা বিষাক্ত প্রবন্ধের জবাব দিয়েছিলেন তিনি সেটার মাধ্যমে। ডঃ মোস্তাফা কামিল প্রবন্ধের আরবি অনুবাদ করেন, ও কোন এক ম্যাগাযিনে প্রকাশ করে আরবি ভাষীদের কাছে আলমাহমুদের মত বাংলাভাষার সেরা কবির ইসলামে ফিরে আসার কারণ তুলে ধরেন। সেখানে তিনি তার প্রিয় শাহরিয়ারকে শুনিয়েছিলেন ইসলামে ফিরে আসার পেছনে তার গল্পের কথা। তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক সমাজতান্ত্রিক, ছিলেন ভালো ধরণের নাস্তিক, এবং ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন। পরে তাকে “গণকণ্ঠের” সম্পাদনার সাথে থাকায় তারই প্রিয় শেখ মুজিব সরকার জেলে বন্দী করে। এই সময় জেলের একাকিত্ব ঘুচাতে অনেক বিষয় অধ্যায়নের মাঝে আলকুরআন নামক এক মহা মূল্যবান সাহিত্যের সন্ধান পান। সেই কুরআনী সাহিত্যের বিপুল সম্মোহনে আমাদের প্রিয়তম আলমাহমুদ আবার তার প্রভূর সান্নিধ্যে ফিরে আসেন, এবং তার মূল নাম আব্দুশ শাকূরের আসল রূপেই জেল থেকে বের হয়ে আসেন।
এলিফেন্ট রোডের একটা সাহিত্য মজলিসে একবার তিনি বলেছিলেন, জেলে থাকতে আরেকটা বই তাকে দারুন ভাবে আলোড়িত করেছিলো। সেই বইটার নাম ছিলো “মহা সত্যের সন্ধানে” । লেখক ছিলেন বাংলাদেশের এখনো পর্যন্ত আনপ্যারালাল্ড ইসলামিক স্কলার মাওলানা আব্দুর রহীম (র)। মাওলানা তার বইতে কখনো মাওলানা শব্দটা প্রয়োগ করতেন না। ফলে আলমাহমুদ সাহেব বইটা পড়েই অভিভূত হয়ে যান; কারণ আল্লাহর অস্তিত্ব বিষয়ে এমন দার্শনিক উপাস্থাপনা ও সাবলীল সাহিত্যিক বাংলায় লেখা বই তিনি আগে আর দেখেননি। তিনি বলেছিলেনঃ “আমি জেল থেকে বের হয়ে ঐ বই থেকে নেয়া ঠিকানার মাধ্যমে নাখালপাড়ায় মাওলানার বাড়ি যেয়ে উঠি একদিন। দেখলাম চারি পাশে বইএর দংগলে বসে থাকা এক বড় মাওলানা”। তিনি নাকি চমকে ওঠেন। মাওলানারা কিভাবে এত সুন্দর বাংলা জানবে এটা ছিলো তার বড় বিস্ময়।
তিনি বাংলা সাহিত্যে এক নতুন ভাষার স্রষ্টা। যেটাকে পরিচয় করাতে কাজী নজরুল, গোলাম মোস্তফা, ফাররুখ আহমাদ, তালিম হোসেনরা নিষ্ঠার সাথে শুরু করেছিলেন, আলমাহমুদ তাকে এগিয়ে নিতে আরেক নজির সৃষ্টি করেছেন। সৈয়েদ আলী আহসান একবার বলেছিলেনঃ "আমি গর্বের সাথে আজ উচ্চারণ করি, যে কোলকাতার ভাষা থেকে আমরা ঢাকার ভাষা এখন আলাদা করতে পেরেছি"। আল্লাহ তাওফীক্ব দিলে তার সেই ভাষার ব্যবচ্ছেদ করার নিয়ত রাখি একদিন।
কবি আলমাহমুদের জীবন কিন্তু নানা বর্ণের। সোনালী কাবিনের কবিকে যারা বখতিয়ারের ঘোড়ায় দেখতে চায় তারা নিরাশ হয়। নারী দেহের আকর্ষণীয় খাঁজগুলোতে সুড়সুড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে আমি জানিনা আরবি ভাষায় ইমরুউল ক্বায়েসের পরে আলমাহমুদ ছাড়া আর কেও অত সুন্দর সফলতা দেখাতে পেরেছেন কিনা। তিনি নারীদেরকে অধরা বা অস্পর্শী করে রাখার পক্ষপাতি ছিলেননা। তা করতে যেয়ে তিনি ফটোগ্রাফারছিলেন না বটে, কিন্তু আকাশ ও ধরিত্রী পেরিয়ে জান্নাতি হুরের মর্যাদায় নারীকে নিয়ে তার চারপাশে বন্দনা করে বেড়াতে তিনি কুণ্ঠিত হননি। পরিণতি যাই ঘটুক তার দিকে তার নজর থাকার কথা না, কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে তিনি সাহিত্য সেবী হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন।
সোনালী কাবিনের কবিকে আমরা “আর্টস ফর আর্ট’স সেইক” বা সাহিত্যের জন্য সাহিত্য রচনার অগ্রবর্তী হিসেবে পেলেও ইসলামী যুগে কবি হয়েছেন আরো মৃন্ময় অথচ জাগতিকতার উর্ধে রেখেছেন তার কাব্যিক নজর। এই জন্য তার সাহিত্যকে স্বাপ্নিক ও বাস্তবিকতার মিলনজাত হিসেবে পাই।
তিনি কলাম লেখক ছিলেন, তার মুখের কথা গান হতো সব সময়। তার কবিতা অতলস্পর্শী এবং নানা বর্ণের। গীত হয়ে ওঠা ছন্দমালা গুলো নতুন সুর ব্যঞ্জনা দেয়। কবিতা গুলোকে তিনি এমন ভাবে সাজিয়েছেন, যার মাধ্যমে তার সাহিত্য ফুটে উঠেছে পৃথিবীতে থাকা নানা ধরণের নারীর বর্ণে ও দৈহিক মদিরতায়।
তিনি প্রবন্ধ সাহিত্যের এক স্বতন্ত্র ধারা সৃষ্টিকারী, যেখানের সবগুলোই বাঙময় হয়ে উঠতো তার জীবন ঘেসে। গল্প ও উপন্যাসে আলমাহমুদ আমাদের অরেক বড় জ্বালার মধ্যে ফেলে দিতেন। সাহিত্যধারার নানা দর্শনকে তিনি পরীক্ষা করেছেন তার সাহিত্যে। আলো আঁধারির খেলা তৈরিতে তিনি এমন তুখোড় ছিলেন যে কবি মাহফুজুল্লাহর মত মানুষ ও তার ট্রাপে পড়ে গিয়েছিলেন। তার "যেভাবে বেড়ে উঠি” অমর গল্পটা কি তার আত্ম জীবনী? আমরা ভক্তরা তা-ই মনে করেছিলাম। কিন্তু তার বন্ধু কবি মাহফুজুল্লাহ সাহেব যখন সেখানে দেয়া তথ্যের বিকৃতি ধরে প্রবন্ধ লেখেন, কবি মিচকি হেসে তার জবাবে এতটুকুই বলেছিলেন যে এটা তার আত্মজীবনী নয়। সাহিত্যে এটা অনেক ভয়ংকর। কারণ আমরা সাহিত্যিকের সাহিত্য মূল্যায়ন করতে যেয়ে যুগ-মানস ও ব্যক্তি-মানসের সাথে সাথে চারিপাশের সমাজ, চিত্র, চরিত্র, মনস্তাত্বিক চড়াই উৎরাই এবং রাজনৈতিক উত্থান পতনকেও সামনে আনি। আমার মনে হয় এই জন্য তার লেখা “ঊপমহাদেশ” ও “কাবিলের বোন” পড়ে পাওয়া ঘটনা বা সংঘটনগুলোকে কাব্যিক আবহে লেখা কাল্পনিক ভাবতে আমি বাধ্য হই। যদিও তিনি ইতিহাস বিকৃত করেননি, এবং উপরোক্ত এই দুই বই না পড়ে আপনি ১৯৭১ সাল সম্পর্কে সমন্বিত কোন ধারণা পাবেন না। তিনি বিভিন্ন স্থানে বলেছেন, কাবিলের বোনের মাধ্যমে তিনি শেখ মুজিবের ঋণ শোধ করেছেন। বাস্তবিক পক্ষে তার এই ঊপন্যাস পড়ে যেমন হাওমাও করে কেঁদেছি, তেমনি পাকিস্তান সফরে আমি বারবার রোখসানা ও আন্দালিবদের মত মানুষের সাক্ষাত পেয়ে তার কাহিনী সম্ভারকে ইতিহাসের জারক ও ভাবতে বাধ্য হয়েছি। আমি এখানেই কবির এক আকাশ ছোঁয়া শক্তির সন্ধান পাই।
তিনি কবি। কাব্যকে তিনি ঐশ্বরিক শক্তির উৎসরণে যেন পাকাপোক্ত ভিত রচনা করে গেছেন। যে স্থানে সমসাময়িক খুব কম কবি তাকে ছুঁইতে পেরেছেন।
গদ্য লেখার যে যায়গায় তিনি পারঙ্গমতা দেখিয়েছেন, সেখানে তার বৈশিষ্ট্যকে আমরা তার কথার মাধ্যমেই পাই। তিনি একবার বলেছিলেনঃ বিশ শতক হলো শক্তিমান কবিদের গদ্য লেখার শতক। আসলে তিন একদম মিথ্যে বলেন নি। কবি গুরুর গদ্য লেখার সাথে আলমাহমুদকে রাখলে মনে হয় তিনি শতভাগই সফলভাবে প্রমান করেছেন, বিশ ও একবিংশ শতকের প্রথম ভাগে তিনি বাংলা ভাষায় খুবই শক্তিমান কথা সাহিত্যিক ও। তার পানকৌড়ির রক্ত (১৯৭৫) ‘সৌরভের কাছে পরাজিত’ (১৯৮৩), ‘গন্ধবণিক’ (১৯৮৬) ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’(১৯৮৬) ‘ডাহুকী’ (১৯৯২) ‘কবি ও কোলাহল’, ‘উপমহাদেশ’ এবং ‘কাবিলের বোন’(১৯৯৩), ‘পুরুষ সুন্দর’ (১৯৯৪), ‘নিশিন্দা নারী’, ‘মরু মুষিকের উপত্যকা’ এবং ‘আগুনের মেয়ে’ (১৯৯৫)ইত্যাদি গদ্য গ্রন্থ গুলো আমাকে শুধু টানেনি, ঋদ্ধ ও করেছে অনেক।
তাকে নিয়ে কত কথা বলতে মন চায়। কবে বলবো, কখন বলবো জানিনা। তার ইসলামি জীবনের লেখা গুলোতেও মাঝে মাঝে আমার খুব রাগ ধরিয়েছেন তিনি। “পুরুষ সুন্দর” বই টই পড়তে যেয়ে খালি ভাবতাম আমার প্রিয় কবি যদি এই গুলোর গন্ধ না নিতেন ও দিতেন তাইলে হয়ত খুব ভালো হতো।
তিনি মীর বংশের বাতি। ইসলাম মেশা থাকতো তাদের শরীরে। সেই ইসলাম-প্রেমের সাক্ষর হয়ত তার লেখা থেকে আমরা পেয়েছি। তিনি সাহিত্যিক ছিলেন, দাঈ ইলাল্লাহ ছিলেন না। কাজেই তার লেখা গুলো সেই ভাবেই আমি দেখি। আমি তার লেখনিতে মুগ্ধ হয়ে একবার বলেছিলামঃ এতো শক্ত তার ঋজুতা, এত গাঁথুনি তার কবিতার গতরে, আমি হারিয়ে যাই তার মৌ মৌ রূপকল্পতার যৌবনে, যেখানে এক সাথে গেয়ে ওঠে জালালী কইতর, কিংবা ফুঁসে ওঠে চাঁদপুরের নদীগুলোর মোহনার ঢেও”।
কবিদের কিছু শেষ চাওয়া থাকে। কবি নজরুলের মসজিদের পাশে শুয়ে আযান-ধ্বনি শোনার বাসনা ছিলো। আমার কবি আলমাহমুদের আকাংক্ষা ছিলোঃ
*****************************************************
"কোনো এক ভোরবেলা রাত্রি শেষে শুভ শুক্রবারে
মৃত্যুর ফেরেশতা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাগিদ
অপ্রস্তুত, এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে
ভালো মন্দ যা ঘটুক মেনে নেব এ আমার ঈদ।
****************************************************
ফেলে যাচ্ছি খড়কুটো, পরিধেয়, আহার, মৈথুন---
নিরুপায় কিছু স্মৃতি, কিছু নাম কিংবা কিছু নয়,
অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে জমে আছে শোকের লেগুন
কার হাত ভাঙে চুড়ি ? কে ফোঁপায় ? পৃথিবী নিশ্চয় ;
*****************************************************
স্মৃতির মেঘলা ভোরে শেষ ডাক ডাকছে ডাহুক ?
অদৃশ্য আত্মার তরী কোন ঘাটে ভিড়ল কোথায় ?
কেন দোলে হৃদপিণ্ড আমার কি ভয়ের অসুখ ?
নাকি সেই শিহরণ পুলকিত মাস্তুল দোলায়!
****************************************************
আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার
যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার"।
****************************************************
তাজ্জব হয়ে যাই, আল্লাহ তা'আলা ঠিক ই তার দুয়া কবুল করেছেন। সেই শুক্রবারেই তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। সাথে সাথে ১৯৩৬ থেকে আজ ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সুদীর্ঘ পথে অনেক মণিমুক্তা আমাদের দান করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশাল ধনী বানিয়ে গেছেন।
আল্লাহ তুমি আমার প্রিয় কবির সব গুনাহ মাফ করে দাও। তাকে প্রিয় করে নাও, ইয়া রাব্বাল আলামীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন