মিনার রশিদ
আমাদের এক ক্যাপ্টেন ( মার্চেন্ট নেভি ) বন্ধু অপরাপর বন্ধুদের মনোরন্জনে কিছু চুটকি পাঠিয়েছে ।অনেক কষ্টের মধ্যেও সেগুলো আনন্দ দিয়েছে ।
লায়াবেলিটি আর এসেটের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছে , A drunk friend is a liability but a drunk girl friend is an asset .
কয়েকদিন যাবত মনটি নানা কারণে বিক্ষিপ্ত ছিল । বন্ধুর পাঠানো এই চুটকি গুলি পড়ে মনটা ক্ষণেকের জন্যে ভালো হয়ে গেল । পরক্ষণেই নিজের এই দেশটিকেই অন্য একটি রাষ্ট্র্রের মাতাল মেয়ে বন্ধুর মত মালুম হলো ।
নিজেদের দেশে গণতন্ত্র অটুট রাখলেও “মাতাল মেয়ে বন্ধু “ র গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এই ছেলেবন্ধুটি দু পায়ে খাড়া । বিজেপির মত কট্টর মৌলবাদী দলকে প্রতিহত করতে ওরা নিজেদের গণতন্ত্রকে আপাতত দূরে সরিয়ে রাখার চিন্তা করে না । কিন্তু আমাদের দেশে এই বাকশালী ভাবনার গায়ে ঠিকই বাতাস দেয় ।
সেই বাতাস খেয়ে মোহাম্মদ এ. আরাফাতরা তত্ত্ব ছাড়ে , ঘাতক শক্তিকে ( বিএনপি জোটকে ) নির্মূল না করা পর্যন্ত এদেশে গণতন্ত্রের চর্চ্চা করা সম্ভব হবে না ।
এই আরাফাত , জাফর ইকবাল , আগাচৌ , শাহরিয়ার কবির এবং সম ঘরানার সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মহল পুরো দেশটিকে প্রতিবেশীর জন্যে এক মাতাল মেয়েবন্ধু বানিয়ে ফেলেছে ।
খবরে প্রকাশ , ‘ শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুত ১০ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। বিশ্বভারতীর ভিসি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী চেক গ্রহণ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
ভারতীয় মুদ্রায় ২৫ কোটি রুপি দিয়ে এর আগে শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবন নামের একটি ভবন নির্মাণ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। ‘
এমনই প্রেমের লেনদেন কালীন সময়ে সীমান্তে গুলি খেয়ে মরেছে কয়েকজন নিরীহ দেশী ভাই । এগুলো নিয়ে আমাদের মাঝে এখন আর কোনো বিকার হয় না । এদের জন্মই হয়েছে বিএসএফের গুলি খেয়ে মরার জন্যে ।
সীমান্তে একজন নেপালীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করলে পুরো নেপাল কেঁপে উঠেছিল । আর প্রতি সপ্তাহেই এরকম একজন / দুজন পাখির মত গুলিতে আহত/ নিহত হলে এই মাতাল গার্ল ফ্রেন্ডরূপী দেশটিতে কোনো
বিক্রিয়া হয় না ।
জানি না , কী মরণ নেশায় আমরা বুঁদ হয়ে আছি ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন