শেখ আদনান ফাহাদ
ডাক্তার আকাশ কিছু মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন। কিছু মানুষ আবার মিতুকে সাপোর্ট দিচ্ছেন। আবার দুই পক্ষের মানুষের মধ্যে মিল আছে বেশ। তারা নানা কারণে পুরুষ কিংবা নারী সমাজের ওপর ক্ষ্যাপা। কেউ প্রেমে ব্যর্থ, কেউ সংসারে ব্যর্থ হয়েছেন। সংসার করতে পারা সহজ বিষয় নয়। যারা নিজেদের ব্যর্থতায় কিংবা অন্য কোনো কারণে সংসার চালিয়ে যেতে পারেননি, তাদের মধ্যে যারা নারী তারা মিতুকে সাপোর্ট করছেন। আবার যারা সংসারে ব্যর্থ পুরুষ, তারা ডাক্তার আকাশকে সাপোর্ট করছেন।
ডাক্তার আকাশকে আমি নির্দোষ মনে করি না। আবার মিতুকেও নির্দোষ বলছি না। ভিডিও দেখে মনে হলো, মিতুকে প্রচ- মারধর করেছে আকাশ ও তার পরিবার। এটা অপরাধ নিঃসন্দেহে। আসলে সম্পর্ক যখন শুধু টাকাপয়সা, আর সোনার গয়না-নির্ভর হয় তখন বিপর্যয় আসতে বাধ্য। ৩৫ লাখ টাকায় কাবিন কেন করা হয়েছিলো জানেন? শুধু আভিজাত্য প্রদর্শনের জন্য। ৩৫ লাখ টাকা নগদ আর সম্পদের অংশ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে দিয়ে দেয়ার মতো সাহস বা সামর্থ্য আকাশের ছিলো না। স্ত্রীকে মারধরের দায়ে আকাশের বিচার হতে পারতো।
আকাশ ভয়ে অসহায় হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই আমার ধারণা। আর মিতুর তথাকথিত ‘পরকীয়া’কে যারা সাপোর্ট দিচ্ছেন তারা বিকৃত মনস্ক। একজনের স্ত্রী থাকা অবস্থায় আরেকজনের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যদিও মিতু এমনটা করেছে বলে আমার কাছে কোনো প্রমাণ নেই। তাই না জেনে শুধু মিতুকেই দোষারোপ করাও ঠিক নয়।
লেখক শিক্ষক, জাবি। ফেসবুক থেকে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন