ইফতেখার আহমেদ বাবু
গত দু’দিন ফেসবুকের পাতায় প্রখ্যাত (?) ভিসির ঐতিহাসিক চপ, শিঙাড়া, সমুচা ১০ টাকায় সহজ প্রাপ্তির বক্তব্য নিয়ে যতো পোস্ট দেখেছি, জীবনে এতো পরিমাণ সেই খাদ্যগুলো খেয়েছি বলে মনে হচ্ছে না। তাছাড়া কৌতুকপ্রিয় বাঙালির জন্য এ রকম মজার ভাষণ নিঃসন্দেহে অপার প্রাপ্তি।
আমার ভাবনাটি অন্য বিষয়ে। আর মাত্র দুই বছর পর ২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি শতবর্ষ পূর্ণ করতে যাচ্ছে। সেসময় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোন কোন শাখায় তার অবদান ও অর্জনের বিষয়টি। প্রতিষ্ঠার সময়ে যে আকাক্সক্ষা নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিলো তার কতোটুকু শতবর্ষে পূরণ করতে পেরেছে।
খুব ভালো লাগতো শিক্ষকদের কতোজনের লেখা আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রকাশিত হয়েছে, কতোজনকে ডক্টরেট প্রদান করা হয়েছে, বিজ্ঞানের মৌলিক কোন বিষয়ে গবেষণায় সাফল্য এসেছে অথবা গবেষণা চলছে। লাইব্রেরিতে কতো বই আছে, কতোজন শিক্ষার্থী তা ব্যবহার করে, তার অনুপাত কতো ও ছাত্রদের পড়ার জন্য হলে উপযুক্ত পরিবেশ আছে কিনা ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে যা বললে আমরা সহজেই বুঝতে পারতাম।
আমাদের অনেক বিষয়ে ঘাটতি আছে সেটা সত্য। অর্জন কী একেবারেই নেই? অবশ্যই আছে। অর্জনের জন্য গর্ব করার বিষয় থাকলে সেটা নিয়ে গর্ব করা যায়, সেটাই স্বাভাবিকতা। এখন প্রশ্ন, আজকাল ভিসি সাহেবরা কেন এ রকম বিতর্কিত হয়ে পড়ছেন। স্বাধীনতার পর কিছুদিন, যোগ্যতার মাপকাঠি থাকলেও পরবর্তী সময়ে ক্রমান্বয়ে দলীয় আনুগত্য প্রধান বিষয় হয়ে গেছে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাষ্ট্রের সকল স্তরে চিত্রটি দৃশ্যমান। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চিন্তা করতেই হবে। জবাবদিহিতার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। না হলে স্বাধীনতার সংগ্রামটা বিফলে পর্যবসিত হবে। যেটা আমাদের কারো কাম্য হতে পারে না। ফেসবুক থেকে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন