আমান আব্দুহু
আওয়ামী লীগের একটা ভালো গুণ হলো তারা খাদেমদেরকে পুরস্কৃত করে। নো চাটা গোজ আনএওয়ার্ডেড। জেনারেল আজিজ যেহেতু আওয়ামী লীগের ভালো সেবা করেছেন, তিনি ভালো পুরস্কার পাবেন। সুতরাং তার ছোটভাই জোসেফকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খুনী জোসেফ আদালতের মৃত্যুদন্ড থেকে বেঁচে বিদেশেও চলে গেছে। এখন তিনি সেনাপ্রধান হলেন। কয়েক বছর পর হবেন আমেরিকা অথবা অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
এখন প্রশ্ন আসে, জেনারেল আজিজ এমন কি সেবা করেছেন যার জন্য তাকে এতো পুরস্কার দেয়া হচ্ছে?
তার অনেক সেবার মাঝে সবচেয়ে বড় সেবা হলো, তিনি হেফাজতের আন্দোলনকে স্রেফ হাওয়া করে দিয়েছিলেন। কয়েক ঘন্টার মধ্যে পুরো মতিঝিল ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে ফেলেছিলেন। তারপর এসেছিলো শুভ্র সুন্দর বিধৌত এক সকাল, যেখানে শুধু ছিলো কিছু উপড়ানো বৃক্ষের জন্য শাহবাগি ক্রন্দন। যারা রং মেখে শুয়েছিলো, তারা উঠে বাপ বাপ করতে করতে কান ধরে বাড়ি চলে গেছিলো। স্যার জাফর ইকবাল হাঁফ ছেড়ে আনন্দের নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে বিজিবি প্রধান হওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় ২০১৩ মে মাসে এটাই ছিলো তার সবচেয়ে বড় ষ্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং এবং অপারেশন। সেই রাতে পুলিশ/র্যাব মাঠে ছিলো বটে, কিন্তু মূল দায়িত্বে ছিলো প্যারামিলিটারি ফোর্স বিজিবি সদস্যরা। এইটা দেশী বিদেশী সব রিপোর্টে এসেছে।
পূর্ব পাকিস্তানে (পরবর্তীতে বাংলাদেশ) পোড়ামাটি নীতি চালানো পাকিস্তানী জেনারেল টিক্কা খানকে বলা হয় বেলুচিস্তানের কসাই। স্রেব্রেনিৎযা গণহত্যা চালানো সার্ব জেনারেল রাটকো মেলাদিচকে বলা হয় বসনিয়ার কসাই। বাংলাদেশী জেনারেল আজিজ আপাতত সুবে বাংলার প্রধান সিপাহসালারের চেয়ারে বসে গেলেও আশা করা যায় ভবিষ্যতের ইতিহাস তাকে 'শাপলা চত্বরের কসাই' হিসেবে মনে রাখবে।
পাঠক মন্তব্য
আজিজ এক দিন ঠিক ই টের পাবে।
আগামী নির্বাচনে যাতে কেউ সেনাবাহিনী মোতায়েন দাবী করতে না পারে সেজন্য শেখ হাসিনা তার খাদেমকে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে বসায়।
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন