জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে ডান হাতে আমলনামা নিয়ে জান্নাতে যেতে চাইলে আমলের বিকল্প নেই। তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট।’ নবী কারীম (সা.) এমন ৩টি আমলের ব্যাপারে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন যা কোন মুমিনের পক্ষে জান্নাতে যাওয়া একেবারেই সহজ করে দিবে। তা হলো- সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মিত ‘সাইয়েদুল ইসতেগফার’ পড়া; প্রতিদিন ‘সুরা মুলক’ এক বার পড়া; প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ‘আয়াতুল কুরসি’ পড়া।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, জান্নাতিদের তাদের ধৈর্যের প্রতিদানস্বরূপ প্রাসাদ দেওয়া হবে। তাদের সেখানে অভিবাদন ও সালাম দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে। তথায় তারা স্থায়ীভাবে থাকবে। আশ্রয়স্থল ও আবাসস্থল হিসেবে তা কতই না উত্তম। (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৭৫-৭৬)
জান্নাত নামের এমন এক শান্তির জায়গা, যার বর্ণনা দেওয়া কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় সেখানে প্রিয় নবী (সা.) পাশের জান্নাতে স্থান করতে কে না চাইবে! রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এতিম-অনাথের রক্ষণাবেক্ষণ বা লালনপালন করে সে আমার সঙ্গে পাশাপাশি জান্নাতে থাকবে। এ কথা বলে—তিনি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুল পাশাপাশি রেখে দেখান।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯১৮)
তাই আমরা ন্যায় ও ইনসাফের ধর্ম ইসলাম সর্বদা মেনে চলবো। ইসলাম এতিমের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে; বিশেষ করে এতিম প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার প্রতি ১০টি অধিকারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এতিম ও অনাথকে ধমক দেওয়াও ইসলামে নিষিদ্ধ।
আল্লাহ তায়াল ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি এতিমের প্রতি কঠোর হয়ো না।’ (সুরা : দুহা, আয়াত : ৯)
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন