সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মুহাম্মাদ সালেহ বিন তাহের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ২০২০ সালের হজ সম্পর্কিত যাবতীয় চুক্তি সম্পাদন করেছে রোববার। হজ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও ডিজিটালকরণে বরাবরের মতো এবারও এগিয়ে ভারত।
হজের কাজগুলো যথাযথ ও সুন্দর করতে ভারত অনলাইনে অ্যাপ্লিকেশন গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ই-ভিসা, হজ পোর্টাল, হজ সম্পর্কিত মোবাইল অ্যাপ, ই-মসিহা স্বাস্থ্য সুবিধা, মক্কা-মদিনায় অবস্থানের আবাসিক ভবন এবং যাতায়াত সম্পর্কিত তথ্যসহ বাদ যায়নি ‘ই-লাগেজ ট্যাগিং’-এর আধুনিক ব্যবস্থা।
‘ই-লাগেজ ট্যাগিং’ ব্যবস্থার মাধ্যমে অনলাইন এসব সুবিধার সঙ্গে ভারত থেকে মক্কা ও মদিনায় যাওয়া হজযাত্রীদের যুক্ত করা হয়েছে।
ভারতে সব হজযাত্রীদের যেমন স্বাস্থ্যসেবা কার্ড সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি সৌদি আরবেও তাদের ‘ই-মসিহা স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সব হাজিদের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যাদি অনলাইনেই পাওয়া যাবে। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেয়া যায়।
২০২০ সালের হজের জন্য গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় হজ কমিটির কাছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭১৪টি আবেদন জমা পড়েছে। ৫ ডিসেম্বর ২০২০ সালের হজে যাওয়ার আবেদন পক্রিয়া শেষ হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানান, ‘জেদ্দায় ভারতীয় কনস্যুলেট, সৌদি আরব সরকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ‘হজ-২০২০’ কে সফল ও সুন্দর করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করছে।
আধুনিক ও ডিজিটাল হজ সেবার আওতায় ২০২০ সালে ২ লাখ ভারতীয় মুসলিম কোনো ভর্তুকি ছাড়াই হজযাত্রা করবেন।
এমনকি অবরুদ্ধ জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অনলাইনে প্রায় ১৫ হাজার মুসলমান হজে যাওয়ার জন্য নিজেদের নাম নিবন্ধন করেছেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মোখতার নাকভি।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষীয় চুক্তিতে সৌদি সরকার গতবারের কোটার সঙ্গে ১০ হাজার হাজিকে হজে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তাই এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন হজ করার সুযোগ পাবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন