সনাতন বিশ্বাসমতে ঘোটকে চড়ে অসুরবিনাশী যে দেবী এবার মর্ত্যে এসেছেন, ভক্তদের কাঁদিয়ে তার এবার বিদায়ের পালা। অর্চনা আর আরতিতে গতকাল মহানবমী উদযাপনের মধ্যেই দেবী বিদায়ের সুর ছড়িয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হৃদয়ে।
শুভ বিজয়া দশমী আজ। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষদিন। গতকাল ছিল দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিন; মহানবমী। অশুভ শক্তির বিনাশ আবাহন করে মহানবমী পূজা উদযাপন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মহানবমী পূজা শুরু হয় সকাল সাড়ে ৬টায়। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় আরতি প্রতিযোগিতা। দিনভর চলেছে চণ্ডীপাঠ আর ভক্তদের কীর্তনবন্দনা। ভোর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মহানবমীতে বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপে ভক্ত-দর্শনার্থীরা ভিড় জমান। শ্রদ্ধা আর ভক্তির মধ্য দিয়ে প্রার্থনা করেন। অশ্রুসজল নয়নে ভক্তরা দুর্গোতিনাশিনী দেবী দুর্গার পায়ে অঞ্জলি দিয়েছেন। দেবীর বন্দনায় প্রতিটি পূজামণ্ডপে ছিল কেবলই বিষাদের ছায়া। আনন্দের পুজোয় অনেকেই কেঁদেছেন।
আজ বিজয়া দশমী। দেবী বিদায়ের দিন। ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভক্তিতে বিদায় জানাবেন মহিষাসুরমর্দিনী কৈলাসধারিনী দেবী দুর্গাকে।
গতকাল সন্ধিপূজা দিয়ে শুরু হয় নবমীর তিথি। পুরানমতে, অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট আর নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মোট ৪৮ মিনিটে এই সন্ধিপূজা করতে হয়। দেবী চামুন্ডার পূজাও করা হয় এসময়। এই ৪৮ মিনিটেই দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন।
মহানবমীর সূচনাপর্ব সন্ধিপূজা করেছেন সনাতন ধর্মবিশ্বাসীরা। একশো আটটি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে ও একশো আটটি পদ্মফুল দেবীর চরণে নিবেদন করা হয়। পূজা শেষে দেয়া অঞ্জলি। এ ছাড়া হোমযজ্ঞ অনুষ্ঠানও পালন করা হয়। পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত থাকবে দশমী তিথি। দেবী দুর্গার বিসর্জন এই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন