ঈদ অর্থ খুশি বা আনন্দ। ঈদ বলতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ কে বুঝায়। ঈদ শব্দটি আরবী উয়ূদ শব্দ হতে গৃহীত। এর অর্থ বারবার ফিরে আসা। যেহেতু ঈদ প্রতি বছরই ফিরে আসে এবং এলাকার লোকজন ঈদের মাঠে গিয়ে একত্রিত হয়েকুশলাদি বিনিময় করে আনন্দ লাভ করে তাই উহাকে ঈদ বলা হয়।প্রতি বছর মুসলিম উম্মাহ দুটি ঈদ উদযাপন করে।
ঈদের নামাজের হুকুম : ছয় তাকবীরের সাথে দু’রাকাত নামাজ পড়া ওয়াজিব। এতে সকল ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। রাসুল (সা:) মক্কা হতে মদিনায় হিজরতের পর থেকে নিয়মিত তা আদায় করেছেন। জীবনে কখনও তরক করেন নি।
নামাজের ওয়াক্ত বা সময়: সূর্য্য ওঠার পর হতে সূর্য্য মধ্যে আকাশে উপনীত হওয়ার মধ্যবর্তী যে কোন সময় পড়তে হবে। সূর্য্য পশ্চিম দিকে ঢলে গেলে এ নামাজ পড়া যাবে না। কোন কারণ বশত সূর্য্য মধ্য গগণে উপনিত হওয়ার পূর্বে নামাজ আদায় করতে নাপারলে ঈদুল ফিতরের নামাজ পরের দিন ও ঈদুল আজহার নামাজ ১২ই যিলহজ্ব পর্যন্ত ঐ ওয়াক্তে আদায় করা যাবে।
ঈদের নামাজের স্থান : ঈদের নামাজ ও জুম্মার নামাজের মত জামাতে পড়তে হবে। একাকি এ নামাজ আদায় করা যাবে না। জুম্মার নামাজ মসজিদেই আদায় করা হয়। ঈদের নামাজ মাঠে পড়া উত্তম ও সুন্নত। বিনা ওজরে ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করামাকরুহ। (ঝড়, বৃষ্টি তুফান, মাঠের ব্যবস্থা না থাকা) ইত্যাদি ওজরে ঈদের নামাজ মসজিদে পড়া যায়।
গ্রামের ছোট ছোট পাঞ্জেগানার সামনে অথবা ছোট ছোট মসজিদের সামনে তো দূরের কথা স্বয়ং রাসুল (সা:) মদিনা শহরেই ঈদের নামাজ আদায় না করে শহরের সন্নিকটে মদিনার পার্শ্বে এক বিশাল মাঠে আজীবন ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। মাত্রএকবার প্রবল বৃষ্টির কারণে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
ইমামের পেছনে কেবলামুখি হয়ে ঈদুল ফিতরের দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ ৬ তাকবিরের সঙ্গে আদায়া করছি- এরূপ নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত তুলে তাহরিমা বাঁধবে। তারপর সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা...) পুরোটা পড়বে। এরপর আউযুবিল্লাহ এবংবিসমিল্লাহর আগে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবির বলবে। প্রথম দু’বার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবে।
কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নেবে। প্রত্যেক তাকবিরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় পরিমাণ থামবে। তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে সূরায়ে ফাতেহার পরে একটা সূরা মেলাবে। এরপর রুকু, সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে।এবার অন্যান্য নামাজের মতো বিসমিল্লাহর পরে সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটা সূরা মেলাবে। তারপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার মাধ্যমে তিনটা তাকবির সম্পন্ন করবে। এখানে প্রতি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দেবে এবং চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলেহাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাবে। এরপর সেজদা এবং আখেরি বৈঠক করে যথারীতি সালাম ফিরায়ে নামাজ শেষ করবে।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন