অনেকে নিজ দেশে রোজা শুরু করার পর বিভিন্ন কারণে দেশের বাইরে যেতে হয়। যেহেতু সারা বিশ্বে একই সময়ে রোজা শুরু হয় না, সে ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তি কোন দেশের সঙ্গে মিলিয়ে রোজা রাখবে?
মাসয়ালাটি বোঝার জন্য একটি মৌলিক বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, চান্দ্রমাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সময়কাল হলো যথাক্রমে ২৯ ও ৩০ দিন। হাদিসে রাসূল (সা.) সুস্পষ্টভাবে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
এক দেশে চাঁদ দেখে রোজা রাখার পর কেউ যদি অন্য কোনো দেশে চলে যায়, তাহলে সে ওই দেশের সংখ্যা ও নিয়ম মেনে বাকি রোজা পালন করবে এবং ওই দেশের সময় ও জনসাধারণের সঙ্গে ঈদ পালন করবে। আর এই স্থান পাল্টানোর কারণে মাঝখান থেকে যে কয়টি রোজা তার কম হবে,সেগুলোকে রমজান মাসের পর কোনো সুবিধাজনক সময়ে কাজা আদায় করে নিতে হবে।
যেমন : কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নিয়ম ও সময় অনুযায়ী চাঁদ দেখে রোজা রাখা শুরু করলেন। ১০টি রোজা রাখার পর কোনো কারণে অন্য দেশে যেতে হলো তাকে। সেখানে গিয়ে দেখলেন, ১২তম রোজা চলছে। তখন তিনি ওই দেশের নিয়ম ও সময় মেনে বাকি রোজা রাখবেন এবং সেখানে থাকলে ঈদ উদযাপন করবেন। এবং যে রোজা তার মাঝখান থেকে কম হলো,রোজার পর সুবিধাজনক কোনো এক সময়ে সেটার কাজা আদায় করে নেবেন।
সে-ক্ষেত্রে যদি সে ২৭ বা ২৮ রোজা পূর্ণ করার পরই তার (সফর করে আসা) দেশে ঈদের চাঁদ ওঠে যায়, তাহলে সে পরবর্তী সময়ে একটি বা দুটি রোজা রেখে ৩০টি পূর্ণ করবে। তবে ওই জায়গায় যদি ২৯ রোজার পরই ঈদের চাঁদ দেখা গিয়ে থাকে তাহলে ২৯টি পুরো করলেই চলবে।
আর যে ব্যক্তির রোজা ৩০টি পুরো হয়ে যাওয়ার পরও ওই দেশের মুসলিমদের রমজান মাস পূর্ণ না হয়, তবে সে ওই দেশের লোকজনের সঙ্গে রমজান শেষ হওয়া পর্যন্ত রোজা রেখে যাবে। যাতে রমজানের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ না হয়। অতপর সকলের সঙ্গে একত্রে ঈদ করবে।
সূত্র: ফাতওয়ায়ে রহমানিয়া ৫/১৮০-৮১
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন