নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা ফরজ। ইসলামে উভয়কেই পর্দা পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। নারীদের আপাদমস্তক আর পুরুষদের কমপক্ষে নাভি থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা আবশ্যক। সৃষ্টিগত কারণে পোশাকের পর্দার ক্ষেত্রে নারীদের প্রতি ইসলাম কঠোর নির্দেশ দিয়েছে বটে, কিন্তু দৃষ্টিগত পর্দায় পুরুষদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘(হে নবী!) আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং গোপন অঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ এ ব্যাপারে জানেন। আর ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং গোপন অঙ্গের হেফাজত করে।-সূরা নূর, আয়াত-৩০।
রসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গায়রে মুহরেম বা বেগানা নারীর সৌন্দর্যের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকাবে, কিয়ামতের দিন তার চোখে সিসা ঢেলে দেওয়া হবে।’-ফাতহুল কাদির।
হযরত বুরায়দা ইবনে আল-হাসিব (রা) থেকে বর্ণিত, রসূল (স) হযরত আলী (রা)কে বলেন, ‘হে আলী! দৃষ্টির পর দৃষ্টি ফেলো না। অনিচ্ছাকৃত যে দৃষ্টি পড়ে এর জন্য তুমি ক্ষমা পাবে, কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টির জন্য ক্ষমা পাবে না।’-আবু দাউদ।
তিনি পুরুষদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘পথের হকগুলোর একটি অন্যতম হক হলো, দৃষ্টিকে সংযত রাখা।’ (বুখারি শরিফ) তিনি আরো বলেছেন, ‘নারীদের সঙ্গে নির্জনে অবস্থান করো না। ওই সত্তার শপথ-যার হাতে আমার প্রাণ, যখনই কোনো পুরুষ কোনো নারীর সঙ্গে একান্তে থাকে, তখনই তাদের মধ্যে তৃতীয় হিসেবে শয়তান এসে অনুপ্রবেশ করে এবং তার জাল বিস্তার করতে থাকে।’-তিবরানি।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন