আর মাত্র দুই দিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল আযহা। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই। কেউ ছুটছেন পছন্দের পোশাক কিনতে, কেউ জুতার দোকানে আবার কেউ কসমেটিক্সের দোকানে। আবার অনেকেই ছুটছেন ঈদের অন্যতম অনুষঙ্গ আতর টুপির দোকানে।খুব বেশি না হলেও টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে এখন বেশ ভিড় লক্ষ করা গেছে।
শনিবার (১৮ আগস্ট) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে বেশ ভিড় লক্ষ করা গেছে। ঈদের দিন সকালে ঈদগাহে যাবেন নতুন পাঞ্জাবি পড়ে, তাতে আতরের সুবাস আর মাথায় টুপি না থাকলে কি আর চলে! নতুন পোশাক কেনার পর ক্রেতারা তাই ভিড় জমাচ্ছে টুপি,আতর আর জায়নামাজের দোকানে।
বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে টুপি, তসবি, সুরমা ও জায়নামাজ। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার ঈদে বেচাবিক্রি ব্যাপক বেড়ে যায়,কিন্তু কুরবানীর ঈদে তুলনামূলক কম হয়।
বায়তুল মোকারমে টুপির দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ১০ টাকা থেকে শুরু করে টুপি এবং ভাল পুঁতির কাজ করা টুপি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। গোল টুপির দাম ৫০ থেকে ৬০০ টাকা।
বাচ্চাদের চুমকি বসানো টুপি মিলবে ১০০-৩৫০ টাকায়। সোনালি সুতার কাজ করা টুপি পাবেন ৭০০ থেকে ১,৫০০ টাকা য়। আর সাধারণ টুপির দাম পড়বে ৫০ থেকে ১২০ টাকা।
রুবেল নামে এক টুপি বিক্রেতা ব্রেকিংনিউজকে জানান,‘ নানা রকম নকশা ও কারুকাজে সজ্জিত টুপির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ কাজ করে বেশি। সেদিক থেকে নকশা ও কারুকাজের মান ভালো হওয়ায় এবারে বিদেশি টুপির চেয়ে দেশি টুপির চাহিদা তুলনামূলক বেশি’।
বায়তুল মোকাররম এলাকায় টুপি কিনছিলেন রুবায়েত হাসান নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি না থাকলে বেমানান লাগে। প্রত্যেক বছর টুপি কিনতে আমি বায়তুল মোকাররম এলাকার দিকেই আসি’।
এদিকে আতর কিনতে আসা সুমন নামে এক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘ঈদের আগে দোকানিরা আতর, সুরমা এবং তসবির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। যা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি’।
বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানীর কয়েকটি আতরের বাজার ঘুরে দাম বাড়তির অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। তবে দাম বাড়লেও অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বাজারে বিক্রিও বেড়েছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সৌদি আরবের ‘উদ’ আতর প্রতি তোলা ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১শ’ মিলিলিটারের ‘সুলতান’ আতরের দাম ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা। ‘আলফারেজ’ ২ হাজার, ‘লর্ড’ ১ হাজার ২শ’, ‘সিলভার’ ১ হাজার ৮শ’, ‘ওপেন’ ১ হাজার ৫শ’, ‘ইগুবস’ ১ হাজার ৬শ’, ‘বস’ ১ হাজার ৫শ’ এবং ‘ম্যাডার রোজ’ ব্র্যান্ডের আতর ১ হাজার ৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন ধরনের আতর নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেটের আতর ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়।
নজরুল বলেন, সবচেয়ে ভালো আতর হচ্ছে ‘মেসকে আম্বর’ এবং ‘উদ’। এ দুটি আতর প্রতি তোলা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় সাধারণত বিক্রি হয়। তবে ঈদ বা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সব থেকে বেশি চলে ‘চকলেট’, ‘বেলি’, ‘রজনীগন্ধা’ ও ‘ইনফিমেন্ট’। এ সব আতর প্রতি তোলা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২শ’ টাকায়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন