শীতকাল আসতে এখনো এক মাস বাকি। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে শীত নেমেছে আরও আগেই। রেকর্ড হচ্ছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। পঞ্চগড়ে সন্ধ্যার পরই শুরু হয় শীতের প্রকোপ। সকাল ১০টার পর বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতু্লিয়া পর্যবেক্ষণাগারে। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় কুড়িগ্রামের রাজারহাট এবং রাজশাহীতে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি। পঞ্চগড়ে সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা পর্যবেক্ষণাগারে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
এদিকে গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপামাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাঙ্গামাটিতে।
এ সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু পারদ উঠছে ২৮-৩০ ডিগ্রিতে।
সোমবার পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে এমন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে।
উত্তরবঙ্গের স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা কাছাকাছি থাকায় এ অঞ্চলে অন্যান্য এলাকার চেয়ে আগেই শীত নামে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত থাকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। কিন্তু এবার নভেম্বরে দিনে গরম আর রাতে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়তে থাকে শীত। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত খুব শীত অনুভূত হচ্ছে।
এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বাড়ছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই থেকে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন