বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে টানা হালকা থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ায় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে জনজীবনেও। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আরও ২ দিন বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। তার পরের ৫ দিনের শুরুর দিকে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে রাতের তাপমাত্রা।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভারতের বিহার-গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে ভারতের মধ্যপ্রদেশের মধ্যভাগ ও তৎসংলগ্ন এলাকা এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় এবং বায়ুর চাপে তারতম্য বিরাজ করছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।
এই সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং ঢাকা, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দরগুলোতে ২ নম্বর এবং অন্যত্র ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ২৮ আগস্ট থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে বলে জানিয়েছ আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের আরেক বার্তায় বলা হয়েছে, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জোয়ারের পানি প্লাবিত হতে পারে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন