বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে এভারেস্টে জমে থাকা বরফপিণ্ড গলতে শুরু করেছে। এভাবে চলতে থাকলে ৮,৮৪৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত এভারেস্টের হিমবাহ গলে গিয়ে নদী হয়ে নিচে নেমে আসবে। এর ফলে বৃদ্ধি পাবে বন্যা, ধসের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। চীন, তিব্বত, ভারত, বাংলাদেশের অনেকটা অংশ তলিয়ে যাবে, সারা পৃথিবীতেই পড়বে এর বড়ধরনের প্রভাব। সম্প্রতি চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস, হিউমান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে। ইন্ডিয়া টাইমস
গবেষনায় জানা যায়, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ন এবং মানুষের অধ্যাধুনিক জীবনযাত্রার জন্যই এভারেস্ট উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে। এক-দুই বা দশ বছরে নয়, বিগত ৫০ বছর ধরে উত্তপ্ত হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্ট। তবে ১৯৯০ সালের পর থেকে এভারেস্ট উত্তপ্ত হওয়ার হার অত্যাধিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে যত দিন যাচ্ছে, ততই এভারেস্টের হিমবাহ সংকুচিত হচ্ছে।
গবেষণা সংস্থা মাউন্ট কোমোলাংমা স্নো লিওপার্ড কনজারভেশন সেন্টার জানিয়েছে, ইতিমধ্যে হিমালয়ের অনেকাংশেরই হিমবাহ গলতে শুরু করেছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তাই সভ্যতা বজায় রাখতে এভারেস্টকে ঠাণ্ডা করা জরুরি বলে দাবি জানিয়েছে তারা। তাদের মতে, এভারেস্টকে ঠাণ্ডা করার একমাত্র উপায় বৃক্ষরোপণ। এভারেস্ট সংলগ্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণে বৃক্ষ রোপণের পরামর্শ দিয়েছে তারা। তাদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং এভারেস্টের উষ্ণায়ন ঠেকাতে কেবল রাষ্ট্রনেতারা পদক্ষেপ নিলেই চলবে না, বিশ্বের সমস্ত মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন