টর্নেডোতে রূপ নেয়ার আগে ঝড়ের রহস্যময় শব্দ বিশ্নেষণ করে টর্নেডো কতটা ভয়াবহ হবে তার আভাস পাওয়া যাবে। এটি বিশাল এলাকাজুড়ে হবে, না ছোট আকারের তাও বলা যাবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, টর্নেডোতে রূপান্তর হওয়ার আগে ঝড় যে রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে তা মানুষ কানে শুনতে পায় না। কারণ, তার কম্পাঙ্ক খুবই কম, বিশ হার্টজেরও নিচে। কেনও এত নিত্ব্য কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি হয়, সে রহস্য এখনও বিজ্ঞানীরা ভেদ করতে পারেননি। দ্য গার্ডিয়ান
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহামা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. ব্রিয়ান এলবিং বলেন, টর্নেডোর কেন্দ্রের দোলন, চাপের প্রশমন এবং সুপ্ত তাপের প্রতিক্রিয়া- এই ৩টি বিষয়ই সম্ভবত ওই রহস্যময় শব্দ সৃষ্টির কারণ। টর্নেডো মাটি স্পর্শ করার আগেই এই শব্দ শোনা যায়, আর মাটি স্পর্শের পরেও তা অব্যাহত থাকে। তবে টর্নেডো মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কিছু পরেই শব্দ হারিয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের শব্দ শুনতে রাডারের দরকার পড়ে না। তারা গবেষণাকালে নিত্ব্য কম্পাঙ্কের শব্দ শোনার উপযুক্ত একটি মাইক্রোফোন ব্যবহার করেন। তাছাড়া তাদের প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে ঝড়ের কেন্দ্রে ঘূর্ণায়মান লেজটি কোন দিকে যাচ্ছে তাও বোঝা যায়। যন্ত্রে ধরা পড়া শব্দের কম্পাঙ্ক থেকে ধারণা করা যায়, টর্নেডো কেমন রূপ নেবে। শব্দের কম্পাঙ্ক ১ হার্টজ হলে টর্নেডোটি বিশাল বড়, খুবই ভয়ঙ্কর। আর ১০ হার্টজ হলে বোঝা যায় এটি ছোট আকারের। বিজ্ঞানীরা তাদের এক পরীক্ষায় ঝড় থেকে টর্নেডোতে রূপ নেয়ার অন্তত ৮ মিনিট আগেই শব্দ শুনতে পান এবং এটি মাটি স্পর্শ করার ৪ মিনিট আগেই স্পষ্ট শব্দ চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। তখন ঘূর্ণিঝড়টি গবেষণাস্থল থেকে ১২ মাইল দূরে ছিলো। বিজ্ঞানীদের দাবি, তাদের যন্ত্রের উন্নয়ন ঘটালে শত মাইল দূরে থাকা অবস্থাতেই টর্নেডো সম্পর্কে আভাস দেয়া সম্ভব। আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন