শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী।
তিনি বলেন, সেই ব্যবসায় লোকসান করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাইকে হাত করে শিক্ষক হয়েছেন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ আয়োজিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে এ অভিযোগ তোলেন ড. রুশাদ ফরিদী।
তিনি বলেন, শাবিপ্রবি উপাচার্য কোনো সময় শিক্ষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে লস খেয়ে তিনি ভাবলেন বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসা লাভজনক হবে। তারপর অর্থনীতি বিভাগের অ্যালামনাইকে হাত করে ধীরে ধীরে তার উত্থান।
এ বিষয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে কোনো মন্তব্য দেননি। তবে তিনি বলেন, ‘যে-যা বলে বলুক। আমি মানসিকভাবে অসুস্থ। ’
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে অনশন কর্মসূচি করে আসছেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। এই অনশনে অংশ নেন ২৪ শিক্ষার্থী। রোববার সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ২৪ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ রয়েছেন তিনি।
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সিলেটে সাধারণ ছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলন ছিল, তারা হলে ভালো খাবার পাচ্ছেন না। বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে প্রশাসনের খুশি হওয়া উচিত ছিল যে, শিক্ষার্থীরা এসব বিষয় তুলে ধরেছেন। কিন্তু প্রশাসন তাদের পুলিশ দ্বারা নির্যাতন করেছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যকে ঘেরাও সাধারণ বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক তিনি। তার কাছেই তো দাবি জানানো হবে। কিন্তু তাদের নির্যাতন করা মানায় না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন