সেশন জট এড়াতে প্রকৌশল ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের একাংশ অটো পাসের দাবি জানিয়েছে। তবে এই দাবি অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সেশনজট এড়াতে সবগুলো বিকল্প ভাবার কথাও জানিয়েছে তারা। ডিসেম্বরের মধ্যেই মেডিকেলের স্থগিত সব প্রফেশনাল পরীক্ষা গ্রহণের কথা ভাবছে চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগ।
সহসাই করোনা বিদায়ের সম্ভাবনা না থাকায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বাধ্য হয়েছে সবাই। সংক্রমণ এড়াতে পিইসি-জেএসসির ফলাফল মূল্যায়ন করে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রকৌশল ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র একটি অংশ অটো প্রমোশনের দাবি জানিয়েছে। বিভিন্ন বর্ষের আইটেম কার্ড, টার্মের মতো ছোট ছোট পরীক্ষার মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রফেশনাল পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করার দাবি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের একাংশের।
তবে এই দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে দ্বিমত পোষণ করেছেন শিক্ষাবিদরা। মানুষের জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষায় সহজ পাশের সুযোগ বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
একজন শিক্ষাবিদ বলেন, 'অটোপাশ করে যদি একজন চিকিৎসক-প্রকৌশলী হয়ে হয়ে যায় তার হাতে রোগী নিরাপদ থাকবে না, অবকাঠামোও ঠিক হবে না। তাদের নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান ভাববে এবং পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া যায় সে কথা ভাববে।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিল বলেন, 'পরীক্ষা নিতে হলে হোস্টেল খুলতে হবে। পরীক্ষা নিতে হলে তাদের মাসখানেক সময় দিতে হবে। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলা হচ্ছে মন্ত্রণালয়ে।'
চলতি বছরের ডিসেম্বরে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাচের প্রফেশনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জোর প্রস্তুতি চলছে। তবুও যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব কি না, সেটি নির্ভর করছে হোস্টেল খোলা, বিদেশী শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরা এবং করোনার সার্বিক পরিস্থিতির ওপর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন