পরিচালকের অনুমতি না থাকায় খালি থাকা সত্ত্বেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউ বেড পেলেন না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী। শেষে এক রকম বিনা চিকিৎসায় হাসপাতালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মারা গেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে তিনি মারা যান।
আব্দুল্লাহ আল মামুন রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। নগরের লোকনাথ স্কুল মার্কেটের কাছে ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ থাকতেন মামুন।
মামুনের সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন জনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে আলসারে ভুগছিলেন মামুন। নতুন করে তার জন্ডিস ধরা পড়ে। সম্প্রতি তার কিডনি ‘বিকল’ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ওই সময় তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেয়ার পরামর্শ দেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। তারা তখনই আইসিইউতে যোগাযোগ করেন। ওই সময় সেখানে একটি বেড ফাঁকা থাকার কথাও নিশ্চিত করা হয়। তবে সেই বেড পেতে হাসপাতাল পরিচালকের লিখিত অনুমতির কথাও জানানো হয়।
আইসিইউ বেড পেতে রাতেই তারা হাসপাতাল পরিচালককে ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন। তবে আইসিইউতে নেয়ার আগেই মারা যান মামুন।
রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক জানান, মামুনের বাবা ও তার তিনজন সহপাঠী হাসপাতালে আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে সহযোগিতার জন্য এসেছিলেন। যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই ওই শিক্ষার্থী মারা যান।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন